গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বাজেট ঘোষণার দিনে দেশের পুঁজিবাজারে কিছুটা দরপতন হয়েছিল। গতকাল চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও দরপতন অব্যাহত ছিল। এ দিন দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই সূচকের পাশাপাশি দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু না থাকায় বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়েছেন। এছাড়া বৈশ্বিক ও স্থানীয় অর্থনৈতিক টানাপড়েনের বিষয়টিও বিনিয়োগকারীদের ভাবিয়ে তুলেছে। এসব কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করে দেয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর থেকেই পয়েন্ট হারাতে থাকে সূচক। মাঝে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। শেষ পর্যন্ত গতকাল দিন শেষে ৪৯ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৪৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৬ হাজার ৪৮০ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি), বিকন
ফার্মাসিউটিক্যালস ও বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারের।
অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল ১৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৩৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের দিন শেষে যা ছিল ২ হাজার ৩৫২ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের দিন শেষে যা ছিল ১ হাজার ৩৯২ পয়েন্টে।