শ্রীলংকায় জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি: রয়টার্স

চরম অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অচলবস্থার মধ্যে আরোপিত বিতর্কিত জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করেছে শ্রীলংকা। নতুন অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের পর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার গভীর রাতে এ ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। খবর রয়টার্স।

এক বিবৃততে প্রেসিডেন্ট জানান, গত ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে এটি কার্যকর হবে।

এর আগে গত ১ এপ্রিল বাড়ির বাইরে বিক্ষোভের পর দেশটির প্রেসিডেন্ট জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। এ আইনের মাধ্যমে ওয়ারেন্ট ছাড়াই মানুষকে গ্রেফতার করতে পারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ১৯৪৮ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভের পর বর্তমানে দেশটি সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। দিনে ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যু বিচ্ছিন্ন, ব্যাপক মূল্যস্ফীতি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতিতে ভুগছে দেশটির জনগণ।

ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে দেশব্যাপী গণবিক্ষোভ থেকে রাজাপাকসে পরিবারের পদত্যাগের দাবি তোলা হচ্ছে। বিক্ষোভের মুখে ৩ এপ্রিল বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভার সব সদস্য পদত্যাগ করলেও থেকে যান প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। উল্টো সর্বদলীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছিলেন গোতাবায়া রাজাপাকসে। জাতীয় সরকারের মন্ত্রিত্ব গ্রহণের সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি বিরোধী দলগুলো। উল্টো একযোগে সরকারি জোট ছেড়েছেন কমপক্ষে ৪১ আইনপ্রণেতা। ফ্রিডম পার্টি সমর্থন প্রত্যাহার করায় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের সরকার। দেশজুড়ে তুমুল আন্দোলনের মধ্যেও প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি পদত্যাগ না করতে অনড় প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেও।

এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় তিনটি দেশে দূতাবাস বন্ধের ঘোষণা দেয় দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটি। বৈদেশিক মুদ্রাস্বল্পতার কারণে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে নরওয়ে, ইরাক ও অস্ট্রেলিয়ায় দূতাবাস ও কনস্যুলেটের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে।

ঋণে জর্জরিত শ্রীলংকা আমদানির মূল্য পরিশোধ করতে পারছে না। মহামারীর সময় পর্যটন খাতের ধসকে আর্থিক অচলাবস্থার বড় কারণ বলা হলেও অনেকেই দেশের সংকট সামাল দিতে ব্যর্থতার জন্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পরিবারের দিকে আঙুল তুলেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন