জিডিটি নিলাম

সরবরাহ সংকটে অস্থিতিশীল দুগ্ধপণ্যের বাজার

বণিক বার্তা ডেস্ক

গ্লোবাল ডেইরি ট্রেডের (জিডিটি) নিলামে দুগ্ধপণ্যের দাম বেড়ে আট বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। নিয়ে পরপর তিন নিলামে দাম বেড়েছে। দুগ্ধপণ্যের বাজার তীব্র অস্থিতিশীলতায় প্রধান ভূমিকা রাখছে সরবরাহ চাহিদার ভারসাম্যহীনতা।

বাজারসংশ্লিষ্টরা জানান, ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বিশ্বব্যাপী দুগ্ধপণ্যের সরবরাহ নিম্নমুখী। কারণ শীর্ষস্থানীয় রফতানিকারক দেশগুলোয় উৎপাদন কমছে। কিন্তু করোনা মহামারীর প্রভাব কমার পর থেকেই দুগ্ধপণ্যের চাহিদা বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। চাহিদা সরবরাহের এমন ব্যবধানের কারণে দুগ্ধপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে।

জিডিটির সর্বশেষ নিলামে দুগ্ধপণ্যের গড় দাম টনপ্রতি হাজার ৬৩০ ডলারে পৌঁছেছে। আগের নিলামের তুলনায় দাম বেড়েছে দশমিক শতাংশ। ২০১৪ সালের মার্চের পর এবারই পণ্যটির দাম সর্বোচ্চে পৌঁছল।

নিলামে দুগ্ধপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধ (ডব্লিউএমপি) আগের নিলামের তুলনায় পণ্যটির দাম বেড়েছে দশমিক শতাংশ। একই সঙ্গে ননিবিহীন গুঁড়ো দুধ (এসএমপি) মাখনের দাম লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। এর মধ্য দিয়ে পণ্যগুলোর দাম পাঁচ বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।

বৈশ্বিক নিলামে সবচেয়ে বেশি দুগ্ধপণ্য সরবরাহ করে ওশেনিয়া মহাদেশ। এছাড়া দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলোর সরবরাহও থাকে ভরপুর। কিন্তু গত ছয় মাসে সরবরাহ আগের বছরগুলোর তুলনায় অনেক কমেছে। ফলে শীর্ষ ভোক্তা দেশগুলোর মাঝে সরবরাহ নিশ্চিতে প্রতিযোগিতা তীব্র হয়ে উঠেছে।

এদিকে বিশ্বজুড়ে দুগ্ধপণ্যের চাহিদা বাড়তে থাকায় কমছে মজুদ। সর্বশেষ নিলামে বরাবরের মতোই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে ডব্লিউএমপি এসএমপি। আর এসব পণ্যের শীর্ষ ক্রেতা ছিল চীন। দুই বছর ধরে দেশটি রেকর্ড পরিমাণ দুগ্ধপণ্য আমদানি করেছে। এমন অস্বাভাবিক চাহিদার কারণেই দাম হু হু করে বাড়ছে। বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা, বছরের শেষ দিকে চাহিদা কিছুটা কমলেও বার্ষিক চাহিদার হার ঊর্ধ্বমুখীই থাকবে। তবে চলতি বছরও দুগ্ধপণ্যের সরবরাহ থাকবে কমতির দিকে। প্রধান আমদানিকারক দেশগুলো বর্তমানে দুগ্ধপণ্যের মজুদ বাড়ানোর প্রতি জোর দিচ্ছে। উদ্দেশ্য আপত্কালীন ক্রমবর্ধমান চাহিদা মোকাবেলা করা। এছাড়া জাহাজীকরণ বিলম্বের কারণেও আগেভাগে দুগ্ধপণ্য সংগ্রহ করে রাখছে এসব দেশ।

জিডিটি মূল্যসূচকের তথ্যানুযায়ী, সর্বশেষ নিলামে সর্বোচ্চ ৩১ হাজার ৯৬৩ টন দুগ্ধপণ্য সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ২৮ হাজার ৪৬৩ টন। নিলামে ১৬২ জন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে বিজয়ী হয়েছে ১১১ জন।

নিলামে ডব্লিউএমটির মূল্য স্থির হয় হাজার ৩২৪ ডলারে, যা আগের নিলামের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেশি। এসএমপির দাম উঠেছে টনপ্রতি হাজার ৫১ ডলার পর্যন্ত, যা আগের নিলামের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেশি। মাখনের দাম বেড়েছে দশমিক শতাংশ। প্রতি টন বিক্রি হয়েছে হাজার ৩৫৯ ডলারে। মাখনযুক্ত গুঁড়ো দুধের দাম দশমিক শতাংশ বেড়ে হাজার ডলারে পৌঁছেছে। প্রতি টন অ্যানহাইড্রাস মিল্ক ফ্যাট বিক্রি হয়েছে হাজার ৮০০ ডলারে, যা আগের নিলামের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেশি। দশমিক শতাংশ বেড়ে চেডার পনির বেচাকেনা হয়েছে হাজার ৬৮৪ ডলারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন