অবশেষে ত্রাণ পৌঁছাল টোঙ্গায়

বণিক বার্তা অনলাইন

সমুদ্রগর্ভস্থ আগ্নেয়গিরির উদগিরণ ও এর ফলে সৃষ্ট সুনামির আঘাতে বিপর্যস্ত দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গায় অবশেষে ত্রাণ পৌঁছেছে। টোঙ্গার বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছাই অপসারণের পর নিউজিল্যান্ডের একটি সামরিক উড়োজাহাজ প্রচুর পানি এবং অন্যান্য সাহায্য নিয়ে অবতরণ করতে সক্ষম হয়। খবর বিবিসি।

গত পাঁচ দিন সারা পৃথিবী থেকে যোগযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল প্রশাস্ত মহাসাগরীয় দ্বিপরাষ্ট্রটি। অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ছড়িয়ে পড়া ছাইয়ের পুরু আস্তরণে দেশটির প্রধান বিমানবন্দরের রানওয়ে ঢাকা পড়ায় সাহায্য পাঠাতে পারছিলো না পার্শ্ববর্তী দেশ নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। কয়েক শ’ কর্মীর নিরলস প্রচেষ্টায় রানওয়ে থেকে ছাই পরিষ্কার করা হলে  আজ বৃহস্পতিবার সাহায্য এসে পৌঁছায় রাজধানী নুকু’আলোফায়। নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে আরো ত্রাণবাহী উড়োজাহাজ এবং জাহাজ রওয়ানা দিয়েছে বলে জানায় বিবিসি।

শনিবারের অগ্ন্যুৎপাত এবং সুনামির প্রভাবে ছাইয়ের চাদরে ঢাকা পড়ে পুরো দ্বীপ। ছড়িয়ে পড়া ছাই এবং সমুদ্রের নোনা পানি মিশে দূষিত করে দ্বীপরাষ্ট্রটির বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ। এতে করে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে টোঙ্গান জনগণ। এ বিপর্যয়ে অন্তত তিন জনের মৃত্যু হয়। 

নিউজিল্যান্ডের যৌথ বাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল জিম গিলমার জানান, প্রচুর পানি, আশ্রয় নেবার অস্থায়ী সরঞ্জাম, বিদ্যুৎ জেনারেটর, স্বাস্থ্য ও পারিবারিক উপকরণ এবং যোগাযোগ সরঞ্জাম বোঝাই করে দেশটির সি-১৩০ হারকিউলিস প্লেন স্থানীয় সময় বিকাল চারটায় টোঙ্গায় এসে পৌঁছায়।

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে দুটো সাহায্যবাহী দুটো বোয়িং সি-১৭ গ্লোবমাস্টার প্লেন পাঠানো হয়। উড়োজাহাজগুলোতে করে রানওয়ে পরিষ্কার রাখার যন্ত্রও পাঠানো হয়।

তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্পর্শবিহীনভাবেই ত্রাণ সরবরাহ করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ। করোনা মহামারীর দুই বছরে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে মাত্র একজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন