মালদ্বীপ সফর শেষে আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম মোহাম্মদ সলিহর আমন্ত্রণে ছয়দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানিয়েছে, মালদ্বীপের স্থানীয় সময় বেলা ১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে। বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।

২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে মালদ্বীপের উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী। ওইদিন মালদ্বীপের স্থানীয় সময় বেলা ৩টায় রাজধানী মালের ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন তিনি। বিমানবন্দরে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান। সময় শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে একটি আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রাসহকারে তাকে তার অবস্থানস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরদিন ২৩ ডিসেম্বর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম মোহাম্মদ সলিহর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মালেতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে পৌঁছলে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেন। সময় শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান গান স্যালুট দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম মোহাম্মদ সলিহর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে উভয় নেতার উপস্থিতিতে দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে তিনটি চুক্তি সই হয়। সই হওয়া চুক্তিগুলো হলো দ্বৈত কর পরিহার চুক্তিসহ বাংলাদেশ মালদ্বীপের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা চিকিৎসাবিজ্ঞান (নবায়ন) সমঝোতা স্মারক এবং উভয় দেশের যুব ক্রীড়া উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতার সমঝোতা স্মারক। অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে মালদ্বীপকে ১৩টি সামরিক যান উপহার দেয় বাংলাদেশ। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে যৌথ বিবৃতি দেন দুই দেশের সরকারপ্রধান।

এদিন মালদ্বীপের জাতীয় সংসদ পিপলস মজলিস- ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পিপলস মজলিসে পৌঁছলে সেখানে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ। প্রধানমন্ত্রী পরে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর এবং মালদ্বীপের সংসদের স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক করেন। মালদ্বীপের পার্লামেন্টের স্পিকার তার বক্তব্যে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় উন্নয়নশীল দেশের নেতৃত্বদানে শেখ হাসিনার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। সময় স্পিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি নৌকার চিত্র শিল্পকর্ম উপহার দেন।

সন্ধ্যায় কুরুম্বা দ্বীপে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ফার্স্ট লেডি আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় যোগ দেন শেখ হাসিনা। ভোজসভায় যোগদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-মালদ্বীপের বাণিজ্য বিনিয়োগ বাড়াতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো উন্নয়নের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

পরদিন ২৪ ডিসেম্বর মালেতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেয়া এক সংবর্ধনায় ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশীরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা সমাধানে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন