গত ২৪ ঘন্টায় (সকাল ৮টা পর্যন্ত)
দেশে আরো ৮১ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে ৬ হাজার ৫৮৬
জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ ধরা পড়ে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে
দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৭২ হাজার ৯৩৫
জনে। সর্বশেষ ৮১ জনসহ মারা গেছেন ১৩ হাজার ৮৬৮ জন করোনা রোগী। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫৫৪টি পরীক্ষাগারে ৩০ হাজার ৩৯১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সরকারি
ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দেশে মোট ৬৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪৬৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
সর্বশেষ
নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায়
সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ০৫ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯
শতাংশ।
২৪
ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫৫ জন পুরুষ এবং ২৬ জন নারী। এ
পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১৩
হাজার ৭০২ জনের মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৯২০ জন এবং নারী ৩ হাজার
৯৪৮ জন।
চলতি
বছরের মার্চে দেশে নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় পর্যায়ে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে গত ৫
এপ্রিল থেকে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনো বহাল রয়েছে। দেশে গত
বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ৩১ মে করোনা রোগীর সংখ্যা ৮
লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে গত ৭ এপ্রিল একদিনে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জন কভিড-১৯
পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে গত ১১ জুন মৃতের সংখ্যা ১৩ হাজার অতিক্রম করে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে সংক্রমণের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল দৈনিক হিসেবে সর্বোচ্চ ১১২ জন করোনা
রোগীর মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথম নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
এরপর মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে শতাধিক দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের ১১ মার্চ
করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।