মুজিবনগর দিবসের চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অনুপ্রেরণা জোগাবে —মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেছেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের শিক্ষা চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বাঙালি জাতিকে অনুপ্রেরণা শক্তি জোগাবে। তিনি মুজিবনগর দিবসের শিক্ষা হূদয়ে ধারণ করে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার আহ্বান জানান।

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত এক বাণীতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আজ এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল এক গৌরবোজ্জ্বল অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে।

মোজাম্মেল বলেন, ২৫ মার্চের কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতম হামলার পর পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণায় উজ্জীবিত হয়ে দেশের মানুষ দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে এবং দেশের সর্বত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণার কেন্দ্রে ধারণ করে, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা মোতাবেক মুজিবনগর সরকার দেশপ্রেমিক মুক্তিপাগল জনতাকে সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধকে একটি সফল জনযুদ্ধে পরিণত করে। আন্তর্জাতিক সমর্থন সহযোগিতা আদায়ে তারা অনন্য ভূমিকা পালন করে। ফলে নয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

বাণীতে মন্ত্রী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা প্রাণপুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এএইচএম কামারুজ্জামানসহ সব শহীদ, বীরাঙ্গনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন