বিখ্যাত হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েটদের কয়েকজন

হুমায়ুন কবির

জ্ঞানের জগতে বরাবরই নামকরা যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি। বেসরকারিভাবে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের উচ্চশিক্ষার শীর্ষপীঠ হিসেবে বিবেচিত। বেশ কঠিন হলেও বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বিপুলসংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থী এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে প্রতিযোগিতা করে। হার্ভার্ড কেন বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রশংসিত এবং কেনইবা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে ছুটে আসে, তার বেশ কয়েকটি কারণ বিদ্যমান। প্রথমত, সর্বোচ্চ মানের শিক্ষা জোগানো ও গবেষণায়-জ্ঞানে শিক্ষকদের সুখ্যাতি। এখানকার অধ্যাপকরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সমুজ্জ্বল। প্রতিষ্ঠানটি নোবেলজয়ী অধ্যাপক ও একাডেমি অব সায়েন্সের অনেক সদস্যকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়। বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবসায় প্রশাসন থেকে শুরু করে মানবিক সব বিষয়ে এখানে উচ্চ প্রভাবসম্পন্ন গবেষণা হয়। বিভিন্ন মানদণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে হার্ভার্ড ধারাবাহিকভাবে শীর্ষে অবস্থান করার নেপথ্যে এটি বিশেষভাবে কাজ করে। দ্বিতীয়ত, বিখ্যাত স্কলারদের পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে জীবন গঠনের সুযোগ। তাদের নীতি-নির্দেশনায় নানা ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সফলতার সুযোগ অনেকখানি বেড়ে যায়। যেমন নবীন কোনো গবেষক সাধারণত নোবেলজয়ী কোনো অধ্যাপকের অধীনেই হয়তো তাদের গবেষণা ক্যারিয়ার শুরুর সুযোগ পান। এটি বিশ্বব্যাপী উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থীদের এখানে আসার ক্ষেত্রে প্রভাবক ভূমিকা রাখে। নিজেদের সম্ভাবনা সম্পর্কে সচেতন মেধাবী শিক্ষার্থীরা ক্যারিয়ারে সাফল্য পেতে সবসময় সুদক্ষ পরামর্শদাতা, তত্ত্বাবধায়কের সন্ধানে থাকে। আর এর অবারিত সুযোগ রয়েছে আলোচ্য প্রতিষ্ঠানটিতে। তৃতীয়ত, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি আইন, চিকিৎসা, জোতির্বিজ্ঞান, সমাজতত্ত্বসহ প্রভৃতি বৈচিত্র্যময় স্টাডি প্রোগ্রাম অফার করে। ফলে একজন শিক্ষার্থীর আগ্রহ যা-ই হোক না কেন হার্ভার্ডে তার জন্য অবশ্যই একটা অপশন থাকে। চতুর্থত, বিশ্বের মধ্যে হার্ভার্ডের একটি টেকসই শিক্ষা তহবিল আছে এবং এর পরিমাণও বিস্ময়জাগানিয়া। টিউশন ফি ও অন্য উৎস, বিশেষত ডোনেশন থেকে পাওয়া বিপুল তহবিল শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোত্তম উপকরণ-শিক্ষাসামগ্রী, গ্রন্থাগার ও অবকাঠামো নিশ্চিতে সাহায্য করে। একই কারণে সর্বোচ্চ মানের গবেষণার পৃষ্ঠপোষকতা জোগাতেও প্রতিষ্ঠানটি সমর্থ। স্বাভাবিকভাবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহীরা হার্ভার্ডের প্রতি আকৃষ্ট হয়। তদুপরি বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস ও ভবনগুলো খুব দৃষ্টিনন্দন। কাজেই জীবন বদলে দেয়া শিক্ষার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হার্ভার্ড একটি স্বস্তিকর যাপন অভিজ্ঞতাও প্রদান করে বৈকি।

সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, হার্ভার্ড শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক প্রদান করে। অধিকাংশ হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েটের বিজ্ঞানে, ব্যবসায় কিংবা রাজনীতিতে খুব সফল ক্যারিয়ার আছে। এ সাফল্য অংশত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে পরস্পরের সঙ্গে গড়ে ওঠা সম্পর্ক ও বিস্তৃত নেটওয়ার্কের ফল। বলা চলে, প্রতিষ্ঠানটি জগজ্জুড়ে শিক্ষার্থীদের নজর কাড়তে মূলত এসব বিষয়ই অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।

যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যার্জনের গৌরব নিশ্চয়ই শিক্ষার্থীদের মনে গভীরভাবে প্রোথিত থাকে। তবে হার্ভার্ডের চেয়ে অন্য কোনো উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ ধরনের গৌরব এতটা আছে কিনা সন্দেহ। প্রতিষ্ঠানটি বিখ্যাত সব ব্যক্তিত্বের শিক্ষাতীর্থের ব্যতিক্রমী কারখানা বললে অত্যুক্তি হবে না। প্রেসিডেন্ট, নোবেল বিজয়ী, ব্যবসায়ী নেতা, উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে বিশ্বখ্যাত অভিনয়শিল্পী কে নেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীর তালিকায়। তাদেরই কয়েকজন নিয়ে এখানে আলোকপাত করা যাক।

বারাক ওবামা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট, নোবেলজয়ী কিংবা একজন মার্কিন জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে বারাক ওবামা হার্ভার্ড ল রিভিউর প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ সভাপতি হয়ে ইতিহাস গড়েছেন। সেটি ১৯৯০ সালের কথা। সহপাঠীর চেয়ে কিছুটা বয়সে বড় ওবামা হার্ভার্ডে ভর্তি হওয়ার আগে শিকাগোতে কমিউনিটি অর্গানাইজার হিসেবে কিছুদিন কাজ করেছিলেন। তখনই রাজনীতি ও জনগণের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্ত মেলামেশায় তার হাতেখড়ি। মূলত ১৯৯১ সালে তিনি হার্ভার্ড থেকে বিশেষ কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তার সময় থেকে হার্ভার্ডে পড়াটা যেন একটি পারিবারিক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তার মেয়ে মালিয়াও ২০১৭ সালের হেমন্তে হার্ভার্ডে যোগ দেন।

আল গোর: হাইস্কুলের পাঠ চুকিয়ে আল গোর কেবল একটি বিশ্ববিদ্যালয়েই আবেদন করেছিলেন। আর তা হলো হার্ভার্ড এবং তিনি সেখানেই ভর্তির সুযোগ পেয়ে যান! পরিবেশকর্মী ও সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট গোর সেখানে ইংরেজি সাহিত্যে মেজর করার পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিশেষ কৃতিত্বের সঙ্গে ডিগ্রি লাভ করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানে (গভর্নমেন্ট)। সেটি ১৯৬৯ সালের দিকে। মূলত এখানেই তার বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বিষয়ে কাজ করার প্রথম স্ফূরণ ঘটেছিল, বিশেষত বিখ্যাত সমুদ্রবিজ্ঞানী ও তাত্ত্বিক রজার রিভেলের একটি ক্লাসে অংশ নেয়ার পর। ক্লিনটন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করা গোরের সুখ্যাতির সোপান হিসেবে কাজ করেছিল হার্ভার্ড। সেখানে তার রুমমেট ছিলেন একাডেমি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী অভিনেতা টমি লি জোনস।

ডব্লিউ বুশ: বুশের শিক্ষাজীবনেরও একটা সময় কেটেছে হার্ভার্ডে। তিনি হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে ১৯৭৫ সালে স্নাতক হন এবং এটিই একজন এমবিএ ডিগ্রিধারী হিসেবে প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে তাকে সুযোগ করে দেয়। তিনি কোনো তারকা শিক্ষার্থী ছিলেন না। তবে নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রয়োজনীয় অহমসহ দ্রুত অধ্যয়নের সুখ্যাতি ছিল তার (হার্ভার্ডে সচরাচর যা খুব কমই দেখা যায়)। সম্ভবত তিনি সহপাঠীদের সঙ্গেও বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০০০ সালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার অভিষেকে তাদের মধ্যে অন্তত ৩০ জনের উপস্থিতি যার প্রমাণ দেয়।

হেনরি কিসিঞ্জার: খ্যাতিমান এ আমেরিকান কূটনীতিক তার একাডেমিক ক্যারিয়ার ক্যামব্রিজে শুরু করেননি। প্রথমদিকে তিনি নিউইয়র্কের সিটি কলেজে পড়তে গিয়েছিলেন। কিন্তু মার্কিন সেনাবাহিনীতে নিযুক্ত হওয়ার পর তিনি হার্ভার্ডে আসেন এবং এখান থেকে ১৯৫০ সালে খুব উচ্চকৃতির সঙ্গে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে এ প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি মাস্টার্স ও পিইএচডি অর্জন করেন। তিনি ১৯৫৪-৬৯ সময় পর্বে হার্ভার্ডের একজন ফ্যাকাল্টি সদস্য হিসেবেও কাজ করেছিলেন। সেটি অবশ্য নিক্সন প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে। পরে তিনি কিছুদিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন এবং ১৯৭৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারেও ভূষিত হন।

নিল দ্য গ্রাস টাইসন: বিখ্যাত জোতির্বিজ্ঞানী ও জনসংস্কৃতি আইকন নিল দ্য গ্রাস টাইসন। তিনি ১৯৮০ সালে হার্ভার্ডে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। টাইসন বিজ্ঞানের প্রতি বিশেষ অনুরাগের জন্য সমধিক পরিচিত এবং তিনি টিভি শোর মাধ্যমে বিজ্ঞানের কঠিন বিষয়গুলোকে সাধারণ মানুষের কাছে সহজবোধ্যভাবে প্রায়ই তুলে ধরেন। কিন্তু হার্ভার্ডে তিনি কিছুটা অ্যাথলিট (জক) হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। নিইউয়র্কে অবস্থিত হেইডেন প্লেনেটারিয়ামের এখনকার পরিচালক টাইসন নাসা ও ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস থেকে পুরস্কারে ভূষিত হন।

স্টিভ বলমার: মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান নির্বাহী। তিনিই মাইক্রোসফটের একমাত্র কর্মকর্তা নন, যার সঙ্গে হার্ভার্ডের যোগসূত্র আছে। প্রতিষ্ঠানটিতে হার্ভার্ড পড়ুয়া আরো কর্মী আছেন। বলমার প্রথমে হার্ভার্ড থেকে ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেন এবং পরে বিশেষ কৃতিত্বের সঙ্গে ফলিত গণিত ও অর্থনীতিতে ১৯৭৭ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষার্থী থাকাকালে তিনি হার্ভার্ড ক্রিমসন ফুটবল দলের ব্যবস্থাপক ছিলেন। একই সঙ্গে হার্ভার্ড ক্রিমসন নিউজপেপার ও হার্ভার্ড অ্যাডভোকেট উভয় প্রকাশনায় তিনি কাজ করেছিলেন। তিনি অ্যালামনাই হিসেবে বিরাট কৃতিত্বের অধিকারী। ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের বিকাশে সহায়তা করতে তিনি ২০১৪ সালে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি দান করেছিলেন। এখন লস অ্যাঞ্জেলেস ক্লিপারসের মালিকও তিনি।

জন রবার্টস: যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রধান বিচারক। তিনিই একমাত্র নন, যিনি ইন্ডিয়ানা হাইস্কুল থেকে হার্ভার্ডে গেছেন। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে আগেও অনেকে গেছেন সেখানে। তবে তিনি খুব দ্রুত পাঠ চুকিয়ে সুনাম অর্জন করেছিলেন। মাত্র তিন বছরের মধ্যে তিনি উচ্চকৃতির সঙ্গে স্নাতক সম্পন্ন করেন। স্নাতক পর্ব শেষে তিনি প্রতিষ্ঠানটির ল স্কুলে যোগ দেন, যেখানে তিনি হার্ভার্ড ল স্কুলের ম্যানেজিং এডিটর ছিলেন। ১৯৭৯ সালে তিনি ল স্কুল থেকে পাঠ সম্পন্ন করেন। তবে তার ক্ষেত্রে বিষয়গুলো একটু ভিন্নভাবে হতে পারত। কলেজের শিক্ষার্থী থাকাকালে রবার্টস তার রুমমেটকে বলেছিলেন, তার পরিকল্পনা একজন ইতিহাসের অধ্যাপক হওয়া। সেটি অবশ্য আর সম্ভব হয়নি।

টেড ক্রুজ: টেক্সাসের একজন সিনেটর এবং ২০১৬ সালে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্সিয়েল ক্যান্ডিডেট ছিলেন। ক্রুজও ছিলেন হার্ভার্ডের ল স্কুলের একজন শিক্ষার্থী। ১৯৯৫ সালে তিনি সেখানে বিশেষ কৃতিত্বের সঙ্গে পাঠ সম্পন্ন করেন। প্রতিষ্ঠানটিতে পড়াকালীন তিনি হার্ভার্ড ল রিভিউ এবং হার্ভার্ড জার্নাল অব ল অ্যান্ড পাবলিক পলিসির একজন সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি হার্ভার্ড ল্যাটিনো ল রিভিউ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার শিক্ষকদের একজন ছিলেন অ্যালান ডরশোয়াইটজ, যিনি ক্রুজকে ব্যতিক্রমী মেধাবী বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।

টিম কেইন: হিলারি ক্লিনটনের রানিং মেট ও (ভার্জিনিয়ার সাবেক গভর্নর) টিম কেইন ১৯৮৩ সালে হার্ভার্ড ল স্কুলের স্নাতক ছিলেন। শিক্ষা লাভের পাশাপাশি হার্ভার্ড চত্বরে তিনি তার জীবনসঙ্গিনীকেও (অ্যানি হলটন) খুঁজে পেয়েছিলেন। যদিও হার্ভার্ড লর সময়টা কেইনের জন্য সবসময় সুখকর অভিজ্ঞতা ছিল না। ১৯৭৯ সালে সেখানে অধ্যয়ন শুরু করেছিলেন তিনি। তবে প্রথম বর্ষের পর তিনি কিছুদিন বিরতি নিয়ে হন্ডুরাসে একজন খ্রিস্টান মিশনারি হিসেবে নয় মাস কাটিয়েছিলেন। পরে এসে তিনি ডিগ্রি লাভ করেছিলেন।

শেরিল স্যান্ডবার্গ: ফেসবুকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা। তিনি হার্ভার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন ১৯৮৭ সালে। তার ভবিষ্যৎ বস সেখানে প্রবেশের বেশ আগে। তিনি সেখান থেকে অর্থনীতিতে ১৯৯১ সালে বেশ উচ্চকৃতির সঙ্গে পাস করেন এবং জন এইচ উইলিয়ামস পুরস্কার লাভ করেন, যা ওই ডিসিপ্লিনের টপ শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়। তার থিসিস তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ক্লিনটন প্রশাসনের সাবেক অর্থমন্ত্রী ও খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ল্যারি সামারস।

দুই বছর পর তিনি হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে ভর্তি হন এবং ১৯৯৫ সালে সর্বোচ্চ ডিস্টিঙ্কশন নিয়ে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। বেশ কয়েক বছর আগে তিনি হার্ভার্ডে গিয়েছিলেন আমন্ত্রিত হয়ে, সেখানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণাপ্রদায়ী বক্তৃতা দিয়েছিলেন। ফেসবুকে যোগ দেয়ার আগে তিনি গুগলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি এখন একজন বিলিয়নেয়ার এবং লিন ইন ফাউন্ডেশনের নামের এক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা।

 হুমায়ুন কবির: সাংবাদিক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন