৫০ বছরে বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার পথে কতদূর এগোল দেশ

ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন

স্বাধীনতার ৫০ বছর বা সুবর্ণজয়ন্তী খুবই আনন্দবহ। জাতির পিতা যখন দেশ স্বাধীন করলেন, সে সময়ের দিকে যদি তাকাই, প্রথমে অর্থনীতির কথা বলি। ষাটের দশকে ব্যাকওয়ার্ড বা পশ্চাত্পদ দেশ এবং সত্তরের দশকে অনুন্নত বা আনডেভেলপড দেশ বলা হতো গরিব দেশকে। সেটি খুব অসম্মানজনক ছিল। 

স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে দরখাস্ত দিয়ে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত বা এলডিসি হিসেবে তালিকাভুক্ত করান। ফলে বেশকিছু সাহায্য পাওয়া যেত, তবে গৌরবের ছিল না। এছাড়া এর ফলে বিশ্ববাণিজ্যে বেশকিছু সাশ্রয় ছিল। 

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু বেশকিছু সমস্যায় পড়লেন রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে। তখন যুক্তরাষ্ট্র সরকারজনগণ নয়, পাকিস্তান, চীন বলা শুরু করল, বাংলাদেশের তো সার্বভৌমত্ব নেই। এটা ভারতের করদ রাজ্য। পাকিস্তানের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মোল্লারা  (গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, জুলমত আলী খান, আব্দুল জব্বার খদ্দর) বলা শুরু করল, শেখ মুজিব ইসলামী পাকিস্তানকে হিন্দু বাংলাদেশ বানিয়ে ফেলেছেন! আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বললেন, বাংলাদেশ তো তলাবিহীন ঝুড়ি। অর্থনীতিবিদ ফ্যালান্ড পারকিনসনস বললেন, আগামীতে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে টিকে থাকলে আমাদের পাঠ্যপুস্তক নতুন করে লিখতে হবে। বাংলাদেশ হবে একটা টেস্ট কেস।

একটি কপর্দকশূন্য রাজকোষের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের যাত্রা হয়েছিল। বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ মাত্র ১৮ ডলার। দেশের খাদ্য গুদামে খাদ্য নেই। মাঠে ফসল  নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তীব্র অভাব। শিল্প-কারখানার মালিকরা সবাই পাকিস্তানে পালিয়ে গেছেন। প্রত্যয়ী বঙ্গবন্ধু আগে থেকেই চলার পথ ঠিক করে রেখেছিলেন।

সবকিছু তার মাথায় ছিল। বন্দি অবস্থায় তিনি ভেবে রেখেছিলেন কীভাবে স্বাধীন বাংলাদেশকে পরিচালনা করবেন। 

জাতির পিতার শক্তিমান কূটনীতি

সবার সঙ্গে বন্ধুতা, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় জোটনিরপেক্ষ নীতির ফলে পৃথিবীর বহু দেশের সঙ্গেই সখ্য হয়ে গেল বাংলাদেশের। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ তিনি যখন দেশে ফিরে আসেন তখন বাংলাদেশকে মাত্র চারটি দেশ স্বীকৃতি দেয়। আর যখন ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘাতকরা তাকে হত্যা করে তখন ৯০টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এটা সম্ভব হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক তত্পরতার সাফল্যে। এক্ষেত্রে একজন সফল পররাষ্ট্রনীতি জ্ঞানসম্পন্ন নেতার দেখা পাই আমরা। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের গুণেও অনেকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ দেশ স্বাধীনের পরে বাহাত্তরের মার্চেই ভারতীয় সেনাবাহিনী সরিয়ে নিয়ে যান। এতে বিদেশী রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি জানাতে স্বস্তি বোধ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌম প্রশ্নে আর কোনো সন্দেহ থাকে না।

ভারত তখন বাংলাদেশের আরো একটি বড় উপকার করেছিল। তখন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার কোনো রিজার্ভ ছিল না। ৫০০ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে ধার দিয়েছিল তারা। সেই অর্থ নিয়ম অনুযায়ী রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় জমা রাখা হয়। ওই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আইএমএফের চাঁদা দিয়ে সদস্য হয়। শুরু হলো অর্থনৈতিক সহযোগিতা, যার প্রায় অর্ধেকই আসে গ্রান্ট বা মঞ্জুরি হিসেবে।

স্বাধীনতার পরে মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৮৫ ডলার। জিডিপি ১৯৭০-৭১ বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ কমে যায়। ১৯৭৪-৭৫ সালে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াল দশমিক শতাংশ। নানা ক্ষেত্রে উন্নয়ন শুরু হলো। বিশেষ করে কৃষিতে ইতিবাচক পরিবর্তন উৎপাদন বৃদ্ধি শুরু করল। কেননা বঙ্গবন্ধু কৃষির নানা ক্ষেত্রে সুযোগ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। নামমাত্র মূল্যে সেচ, সার বীজ দিয়ে কৃষকদের সাহায্য করা শুরু হয়। ফলে কৃষিতে আমূল বদলে গেল দেশ। নতুন স্বাধীন দেশে উন্নয়নের মহা কর্মকাণ্ড শুরু হলো। ১৯৭২ সালে মূল্যস্ফীতি বেশি ছিল। পরে মূল্যস্ফীতিও কমে এল উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে। মানুষের অভাব-অনটন অবশ্য কমেনি। একটি সদ্য স্বাধীন দেশের নাগরিকদের নানা প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করতে হয়েছে। আবার স্বাধীন দেশটির অভিভাবক হিসেবে বঙ্গবন্ধুকেই জনসাধারণের দাবিদাওয়া মেটাতে হয়েছে। 

নয় মাস সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হওয়া দেশটিতে কোনো রকমের অবকাঠামো ছিল না। বন্দরগুলো মাইনিং করে পরাজিত পাকিস্তানি সেনারা। শিল্প-কারখানার মালিকরা সব বন্ধ করে দিয়ে চলে গিয়েছিলেন। এগুলো রাষ্ট্রীয় খাতে নেয়া ছাড়া বঙ্গবন্ধুর সরকারের সামনে তখন কোনো উপায় ছিল না। বঙ্গবন্ধু তা- করলেন। ব্যাংকগুলো সব অচল হয়ে পড়েছিল। সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া হলো। ছয়টি তফসিলি ব্যাংক তৈরি করে তার মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হলো।

জাতিসংঘে চীনারা ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে ভেটো দিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পরিচালনায় তার কার্যক্রম গণচীনসহ বিশ্ববাসী দেখল। বিশ্বনেতারা বঙ্গবন্ধুকে কাছ থেকে দেখলেন, বুঝতে পারলেন বঙ্গবন্ধু একজন গণতান্ত্রিক নেতা। তাই ১৯৭৪ সালে চীন আর ভেটো দিল না। বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য হলো।

ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে জাতির পিতার দেখা হয় আলজিয়ার্সে জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে। তিনি বললেন, হিমালয় তো দেখিনি কিন্তু তার চেয়ে উঁচু তোমাকে দেখলাম। সৌদি আরবের বাদশাহর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর দেখা হলো। সৌদি বাদশাহ সে সময় বঙ্গবন্ধুকে বললেন, আমি তো তোমাকে কোনো সাহায্য দিতে পারব না। আমাদের এবারের বরাদ্দ শেষ। জাতির পিতার জবাব—‘আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে এসেছি, সাহায্য চাইতে আসিনি। আপনার দেশ এখনো আমাকে স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু আমাদের দেশের মুসলিমদের হজ করতে অনুমতি দিয়েছেন। এতে আপনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ টিটু বঙ্গবন্ধুকে বিমানবন্দরে রিসিভ করতে গেলেন। নিয়ম ভেঙে তিনি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে গেলেন তখন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী তার দরজা খুলে দিয়েছিলেন। এভাবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের গতিপ্রকৃতি বদলে দিলেন। সবার সন্দেহ প্রত্যাশাকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেছিলেন।

দেশ পরিচালনায় তিনি নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন। রাজনৈতিক প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সংবিধান রচনা, শিক্ষার ক্ষেত্রে কুদরাত--খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন ছাড়াও স্বাস্থ্য  ক্ষেত্রে কাজ শুরু করলেন। তিনি দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সবকিছু নতুন করে গড়তে শুরু করেন। এভাবে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রের নানা জায়গায় সংবিধান প্রণয়ন, শিক্ষার উপযোগী কাঠামো, ব্যবসার প্রসারেও নানা যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে গেলেন। সেখানে বাংলায় ভাষণ দিলেন। মনে হলো, বঙ্গবন্ধু বিশ্ববাসীর পক্ষ থেকে সেখানে বক্তব্য দিলেন। ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ তিনি সেখানে ভাষণ দিলেন। আমাদের সৌভাগ্য সেখানে উপস্থিত ছিলাম। সেখানে যাওয়ার পরে মনে হলো বিশ্ববাসী বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বনেতা হিসেবেই মেনে নিয়েছে। সম্প্রতি নোবেলজয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান একজন বিশ্বনেতা, শুধু বঙ্গবন্ধু নন।

বঙ্গবন্ধু ধর্মের নামে বেসাতি বন্ধে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করলেন। চারটি সুনির্দিষ্ট অপরাধহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন ধর্ষণকারী ছাড়া বাকি সবাইকে ক্ষমা ঘোষণা করলেন। এর মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু একজন মহান নেতা হিসেবে নিজেকে আবারো প্রমাণ করলেন। তখন তিনি ঘোষণা করলেন, সব মানুষের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা। তিনি কল্যাণ রাষ্ট্রে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দিলেন। যুুদ্ধে অপমানিত, লাঞ্ছিত মা-বোনদের পুনর্বাসনে জাতির পিতা নারী পুনর্বাসন বোর্ড করলেন। পূর্ব জার্মানির প্রেসিডেন্ট অর্থাৎ তার বন্ধুকে ফোন করে সব যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন। স্থাপন করলেন পঙ্গু হাসপাতাল। সুহূদ রাশিয়া সব মাইন পরিষ্কার করল এবং বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তির ব্যবস্থা করল।

কিন্তু ৭৫-এর শোকাবহ আগস্ট ট্র্যাজেডির পরে বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি পাল্টে গেল। গরিব আরো গরিব হলো। ধনী আরো ধনী হলো। এভাবে বাংলাদেশ চলল বেশকিছু কাল। এর পরে ১৯৯৬ সালে জাতির জনকের যোগ্য উত্তরসূরি তার জ্যেষ্ঠ সন্তান জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলেন। তিনি তার বাবার আদর্শ নিয়ে দেশ পরিচালনা করলেন। শেখ হাসিনার দেশ গঠনে বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে তার প্রমাণ আজকের বাংলাদেশ।

নিউজউইক বলেছিল, বঙ্গবন্ধুর মার্চের ভাষণ হচ্ছে রাজনীতির কবিতা। প্রকৃতপক্ষে মার্চের ভাষণ স্বাধীনতার ঘোষণা ছাড়া আর কিছুই নয় বলেও তারা ১৬ মার্চ ১৯৭২ সালে বক্তব্য ছাপে।

আজ জাতির পিতার ১০১ বছর বয়সে তার সংকল্পে সংগ্রামে পাওয়া স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের মানুষ কোথায় দাঁড়িয়ে! সেই তলাবিহীন ঝুড়ির প্রবক্তা এখন বঙ্গবন্ধুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ১৯৭২-এর তুলনায় জনসংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের কিছু বেশি কিন্তু খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে চার গুণ। স্বাদু জলের মাছ আর সবজিতে দেশ এখন পৃথিবীতে তৃতীয়। আলু উৎপাদনে সপ্তম। মানুষের গড় আয়ুু ৪৭ থেকে বেড়ে এখন ৭৩ বছর। ৯০০ কোটি ডলারের অর্থনীতি এখন ৩৪ হাজার  কোটি ডলার। মাথাপিছু আয় হাজার মার্কিন ডলারের কমবেশি। দি ইকোনমিস্ট আর আইএমএফ এটিকে যথাক্রমে পাকিস্তান ভারতের চেয়ে বেশি বলে বক্তব্য দিয়েছে। হূদয় উষ্ণ করা সামাজিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে। নারীর ক্ষমতায়ন সমতায়নে এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় বলে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম জানান দিচ্ছে। শূন্যের অংক থেকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন হাজার ৪০০ কোটি ডলার হলেও এটি রিজার্ভ জিডিপির ন্যূনতম অনুপাতের চেয়ে কম। আপত্কালীন খাদ্য অব্যাহত উন্নয়নের মূলধনি যন্ত্রপাতি কাঁচামাল আমদানি ছাড়া রিজার্ভকে এখনো স্পর্শ করা সমীচীন হবে না।

স্মরণ রাখা ভালো যে হাওয়াই দুশমনসহ বাংলাদেশের বৈরী শক্তি বিপুল এবং বিশাল। চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ খাদ্যদ্রব্যের অভাবের কারণে হয়নি। মনুষ্যসৃষ্ট অব্যবস্থাপনা কিছু দুর্নীতিবাজ খাদ্য কর্মকর্তা এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের ষড়যন্ত্র কারসাজিতেই এটি ঘটে। চাল, আলু পেঁয়াজের সংকটের আসা-যাওয়া এই মধ্যস্বত্বভোগীদের শক্তিমান অব্যাহত উপস্থিতিরই জানান দেয়। আইনি সংস্কার এবং সতর্ক তদারকি ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত উৎপাদন বিপণন সমবায় ব্যবস্থা চালু করাও জরুরি। প্রয়োজন আর্থিক সংস্কার মানি লন্ডারিং দমন এবং ঋণখেলাপিমুক্ত বাংলাদেশ এখন সময়ের দাবি।

দেশে দারিদ্র্য প্রায় হটিয়ে দিয়ে অসম সাহসী মাদার অব হিউম্যানিটি জাতির পিতার সুযোগ্য জ্যেষ্ঠ সন্তান জনবন্ধু শেখ হাসিনা বিদ্যুতে স্বয়ম্ভরতা এনে, নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে এবং মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলসম বিশাল অবকাঠামো গড়ে বাংলাদেশের কল্যাণ রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছেন। তিনি এখন একজন বিশ্বনন্দিত নেতা। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি টেকসই কল্যাণ রাষ্ট্রে তখনই রূপান্তরিত হয় যখন জাতিসংঘের এসডিজির ভাষায় লিভ নো ওয়ান বিহাইন্ড ঘটে। অর্থাৎ আয়, সম্পদ সুযোগবৈষম্য দূর করাটাই এখন সোনার বাংলায় কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় শেষ বাধা। জনবন্ধু শেখ হাসিনার ওপরই ভরসা করে রইলাম।

 

. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন: অর্থনীতিবিদ; সাবেক গর্ভনর, বাংলাদেশ ব্যাংক; প্রধান উপদেষ্টা, ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন