বগুড়ার মোকামতলা থেকে সোনাতলা হয়ে সারিয়াকান্দি পর্যন্ত সড়কের দৈর্ঘ্য ৪০ কিলোমিটার। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সড়কটির ২০ কিলোমিটার অংশই এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তিন উপজেলার চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার সোনাতলা হরিখালী হাট থেকে শেরপুর ভায়া সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাকা সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পাকা সড়কে পাকুল্লা, আচারপাড়া, সানবান্ধা, নিজবলাইল, খোর্দ্দবলাইল, অন্তারপাড়া, পারতিতপরল হয়ে উপজেলা পরিষদ এলাকা পর্যন্ত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এছাড়া সড়কজুড়েই অসংখ্য ছোটবড় গর্ত। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে সোনাতলা ও উত্তর সারিয়াকান্দি প্রায় ৫০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাদের।
উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের দেখভাল করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। প্রায় ১০ বছর আগে নির্মাণ করা সড়কে হয়নি কোনো সংস্কারকাজ। এর মধ্যে অতিবৃষ্টি ও দফায় দফায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি।
বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে ডিসেম্বরে বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা, সোনাতলা উপজেলার হরিখালী হাটশেরপুর ও সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের উত্তর পাশ পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়। এ সড়ক দিয়ে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা থেকে সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলায় সরাসরি যাতায়াত করা যায়। সড়কটি নির্মাণের পর এলাকার কৃষিপণ্য পরিবহন সহজ হয়। শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা এলাকাটি সবজি ও কলা চাষে বিখ্যাত। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য কৃষক তাদের উৎপাদিত কলা ও সবজি মোকামতলা বন্দরে ও উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় সবজির হাট মহাস্থানে নিয়ে যান কম খরচে। প্রায় ৫০ গ্রামের ধান, মরিচ, পাট, আলুসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য পরিবহনে খরচ কমে যায়। কিন্তু নির্মাণের পর ১০ বছরে দফায় দফায় বন্যায় সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যার পাশাপাশি অতিবৃষ্টিতে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়। সব শেষ গত বছর চার দফা বন্যায় সড়কটি আরো বেহাল হয়ে যায়।
বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান বলেন, জেলার মোকামতলা থেকে শুরু হয়ে সড়কটি সোনাতলা উপজেলা এবং সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদে শেষ হয়েছে। ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কটি বেহাল হয়ে আছে। এরমধ্যে সোনাতলা উপজেলা অংশের সাত কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে বাকি অংশও দ্রুত মেরামত করা যেত।