উপমহাদেশের ভূরাজনীতিতে চীন-ইরান মৈত্রী গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার ভারত সফরে যাচ্ছেন ২৬ অক্টোবর। ভারত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠেয় টু প্লাস টু সংলাপে অংশ নিতে দুদিনের সফরে নয়াদিল্লি যাচ্ছেন ট্রাম্প প্রশাসনের প্রভাবশালী দুই কর্তাব্যক্তি। সংলাপে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে।

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের জন্য বর্তমানে ভারতকে পাশে পেতে রীতিমতো মরিয়া হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি জাপানে অনুষ্ঠিত কোয়াড্রিলেটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ (কোয়াড) চলাকালেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক মৈত্রী গড়ে তোলার জন্য ভারতের প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছিলেন মাইক পম্পেও। সংলাপে দেয়া বক্তব্যে এর সপক্ষে যুক্তি হিসেবে ভারতের প্রতিবেশী চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তির কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। চীনের বিরুদ্ধে বারবার বিষোদ্গার করে দেশটির সঙ্গে ভারতের বৈরী সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেছেন।

কোয়াড সংলাপে পম্পেওর বক্তব্যেই পরিষ্কার ছিল, উপমহাদেশের ভূরাজনীতিতে মার্কিন প্রভাব বৃদ্ধি চীনের প্রভাব খর্ব করতে ব্রিজহেড (কোনো সেনা দলের সদ্য দখলকৃত প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান, যা সংলগ্ন এলাকায় প্রতিপক্ষের অবস্থানে হামলা চালাতে ব্যবহার করা হয়) হিসেবে নয়াদিল্লির বন্ধুত্ব চায় ওয়াশিংটন।

উপমহাদেশে প্রভাব বিস্তার চীনকে মোকাবেলার তাগিদে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতকে কাছে পাওয়ার প্রত্যাশা লালন করে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের দুই জোর প্রতিপক্ষ চীন ইরানের মধ্যে ২৫ বছর মেয়াদি এক চুক্তি সই হওয়ার পর পরিস্থিতি নতুন দিকে মোড় নেয়। মূলত ওই চুক্তি সই হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই যুক্তরাষ্ট্রের ভারতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক মিত্রতা গঠনের প্রত্যাশা মরিয়া প্রয়াসে রূপ নেয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

চীন-ইরানের মধ্যকার দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে ভারতের জন্যও দুশ্চিন্তার অনেক কারণ রয়েছে। প্রায় ৪০ হাজার কোটি ডলারের ওই চুক্তির বিষয়বস্তু হলো জ্বালানি, অবকাঠামো টেলিযোগাযোগ খাতে সহযোগিতা। চুক্তির আওতায় ইরানের অবকাঠামো নির্মাণ খাতে বিনিয়োগ করবে চীন। প্রতিদানে দেশটিকে পরবর্তী ২৫ বছর ধরে জ্বালানি সরবরাহ করবে ইরান।

নয়াদিল্লিভিত্তিক ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্সের রিসার্চ ফেলো সংকল্প গুর্জর সম্প্রতি ডেক্কান হেরাল্ডে প্রকাশিত এক নিবন্ধে লেখেন, চুক্তিটির মাধ্যমে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে (বিআরআই) ইতিবাচক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক হিসাবনিকাশ, এশিয়ার ক্ষমতার ভারসাম্য ভারতের নিরাপত্তা কৌশলেও এর কৌশলগত প্রভাব পড়তে যাচ্ছে।

স্বাভাবিকভাবেই চুক্তিটিকে ভালো চোখে দেখছে না ভারত। চুক্তি-পরবর্তীকালে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসা বক্তব্যও সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। অন্যদিকে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বৈরিতার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ইরানকে একপ্রকার অবরুদ্ধ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে ইরানের অর্থনীতিকে কার্যত খোঁড়া করে রেখেছে ওয়াশিংটন।

চীন বরাবরই বেইজিংয়ের শত্রু দেশগুলোর প্রতি বৈরীভাবাপন্ন দেশগুলোকে কাছে টেনেছে। মিয়ানমার উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর বিরোধকে কাজে লাগিয়ে পিয়ংইয়ং নেপিদোকে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছে দেশটি। একইভাবে ইরানের ক্ষেত্রেও বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির খারাপ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়েছে বলে অভিযোগ ভারতীয় গণমাধ্যমের।

প্রকৃতপক্ষে ইরানকে চীনের দিকে ঠেলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৫ সালে ইরানের পারমাণবিক শক্তি কমিয়ে আনাসংক্রান্ত এক চুক্তির মাধ্যমে দেশটির সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের প্রয়াস নিয়েছিল বারাক ওবামার প্রশাসনসহ পশ্চিমা শক্তিগুলো। ওই প্রয়াসে তেহরানের সাড়াও ছিল ইতিবাচক। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরই সব হিসাবনিকাশ বদলে যায়। শুরু থেকেই ইরানের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ দেখাতে থাকে ট্রাম্প প্রশাসন। নানা অবরোধ-নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় আবারো। ২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৫ সালের জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) শীর্ষক চুক্তিটি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয় ওয়াশিংটন। একই সঙ্গে ইরানের ওপর অবরোধ-নিষেধাজ্ঞা জোরদারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ মাত্রার চাপ প্রয়োগেরও সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিনরা। চলতি বছর করোনার বিপর্যয়ের মধ্যে অবরোধ-নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়টি বিবেচনাও করে দেখেনি ট্রাম্প প্রশাসন।

সংকল্প গুর্জরও মনে করছেন, ইরানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী বৈদেশিক নীতিই তেহরান বেইজিংয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে।

ঘনিষ্ঠতাকে আরো অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছে ভারতের বাণিজ্যনীতির পরিবর্তন। অবরোধ-নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারতের জ্বালানি চাহিদার বড় একটি অংশ পূরণ হচ্ছিল ইরানের কাছ থেকে আমদানির মাধ্যমে। কিন্তু গত বছর থেকে ইরানের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়েছে নয়াদিল্লি। অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই চীনা ব্লকে আরো ঝুঁকে পড়েছে ইরান।

চীন-ইরান ঘনিষ্ঠতা ফলপ্রসূ হলে কৌশলগত দিক থেকে পুরো উপমহাদেশের ভূরাজনীতিতে নতুন করে ছক করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ূন কবির। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা কমে আসতে থাকে তেহরানের। নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানের সঙ্গে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের যেহেতু ব্যাংকিং বন্ধ, ফলে তেহরান বিনিময় প্রথার দিকে ঝুঁকেছে, যার অন্যতম উদাহরণ চীনের সঙ্গে সম্পর্ক।

গোটা বিষয়টিকে চীনের মার্কিন প্রভাব খর্ব করার প্রয়াস বলেও মনে করছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, চীন-ইরান সম্পর্ক বাড়ার ফলে ইরান-পাকিস্তান সম্পর্ক আরো বাড়বে। সেই সঙ্গে আফগানিস্তানের সঙ্গেও চীন, ইরান পাকিস্তানের সম্পর্ক বাড়বে। আজ থেকে ১০ বছরের মধ্যে জোটটি দাঁড়িয়ে গেলে ভারতের মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার পথে এক ধরনের বাধা সৃষ্টি হবে। মূলত এখানে ভারত একপ্রকার কোণঠাসা হয়ে পড়বে। এদিকে তুরস্কের সঙ্গেও সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার কাজ করছে চীন। মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মার্কিন আধিপত্যের একপ্রকার প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে দেশটি।

গোঁড়া শিয়া নেতৃত্বের অধীন ইরান ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত চীনের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকাঠামোর মধ্যে ব্যবধান আকাশপাতাল। এর পরও দেশ দুটিকে কাছে নিয়ে এসেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উগ্র জাতীয়তাবাদী আচরণ আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি। উভয় দেশই এখন বৈশ্বিক ভূরাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব আধিপত্য খর্বের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

ইরান চীনের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের দুশ্চিন্তার আছে অনেক কিছু। দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের সবচেয়ে বড় মিত্র পাকিস্তানের সঙ্গে এতদিন ইরানের সম্পর্ক খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না। শিয়া নিপীড়ন, বালুচিস্তান প্রশ্ন আফগানিস্তানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে ব্যাপক মতবিরোধ রয়েছে। কিন্তু বেইজিং-তেহরানের সাম্প্রতিক ঘনিষ্ঠতা পাকিস্তান ইরানের মধ্যকার সম্পর্ক ভালো করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। চীনের চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি) ইরানে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠ মিত্রতায় রূপ দেয়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

যেকোনো পরিস্থিতিতেই চিরবৈরী দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে শক্তিধর ইরানের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ মিত্রতার সম্ভাবনা ভারতের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে যথেষ্ট। আবার সেটি যদি হয় আরেক চিরবৈরী দেশ চীনের মধ্যস্থতায়, সেক্ষেত্রে উদ্বেগ রূপ নিতে পারে মারাত্মক দুশ্চিন্তায়।

চীন বর্তমানে পাকিস্তানের গাদার বন্দরে একটি সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করছে। শিগগিরই দ্বিতীয় আরেকটি ঘাঁটি নির্মাণ করা হতে পারে বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। ইরানে যদি দেশটি রাজনৈতিক-সামরিকভাবে উপস্থিতি তৈরির সুযোগ পায়, সেক্ষেত্রে গোটা ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলেই চীনা প্রভাব আরো অনেক জোরালো হয়ে উঠবে।

অন্যদিকে ইরানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কেরও অবনতি হচ্ছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। চীনের সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদি সহযোগিতা চুক্তির খবর প্রকাশের কিছুদিনের মধ্যেই ৬২৩ কিলোমিটার লম্বা একটি রেলওয়ে প্রকল্প থেকে ভারতকে বাদ দেয়ার ঘোষণা দেয় তেহরান। নির্মীয়মাণ রেললাইনটি ইরানের চাবাহার বন্দর আফগানিস্তানের জারাঞ্জের মধ্যে সংযোগ তৈরির কথা ছিল। ইরান হয়ে আফগানিস্তানে প্রবেশাধিকার পেতে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল প্রকল্পটি। যদিও ভারত বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ছাড়প্রাপ্তি সাপেক্ষে চাবাহার বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে, কিন্তু সেটি দুই দেশের সম্পর্কের কোনো সুরক্ষা দিতে পারবে কিনা, সে বিষয়ে কূটনৈতিক মহলে প্রশ্ন রয়েছে।

মুহূর্তে লাদাখ নিয়ে ভারত চীনের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যাওয়ার জোর আশঙ্কা রয়েছে। আশঙ্কার মেঘ যদি অদূরভবিষ্যতে কেটে যায়ও, তবু দুই দেশের বৈরিতায় ভাটা পড়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। ভারত মহাসাগরে অবস্থান শক্তিশালী করা নিয়ে চীন ভারতের মধ্যে যে প্রতিযোগিতা চলছে, অদূরভবিষ্যতে সেটিও শ্লথ হয়ে আসার সম্ভাবনা কম।

পরিস্থিতি বিবেচনায় বলা যায়, বর্তমানে ভারতেরও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ঝুঁকে পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। চীন-ইরান মৈত্রীকে মোকাবেলা করতে গিয়ে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক যদি আনুষ্ঠানিক মিত্রতায় রূপ নেয়, সেক্ষেত্রে উপমহাদেশের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি এক্ষেত্রে রাশিয়ার জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেয়ার উপায় নেই বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়া ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে বিবেচিত। মধ্যপ্রাচ্যে দেশ দুটি যুক্তরাষ্ট্র মার্কিনদের মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে ছায়াযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করার দায়ে রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অবরোধ আরোপিত রয়েছে। অন্যদিকে চীনও বর্তমানে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করে চলেছে। দেশ দুটি দীর্ঘদিন ধরেই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে মার্কিন কৌশলের বিরোধিতা করে এসেছে। ভারত যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক মিত্রতা ওয়াশিংটনকে অঞ্চলে জেঁকে বসার সুযোগ করে দেবে। সেক্ষেত্রে রাশিয়া পরোক্ষভাবে হলেও অঞ্চলের ভূরাজনীতির সঙ্গে পুরোমাত্রায় জড়িয়ে পড়তে পারে।

চীন, রাশিয়া ইরানের কৌশলগত মিত্রতার ইঙ্গিত গত বছরই পাওয়া গিয়েছে। গত বছরের শেষ দিকে দেশ তিনটি ওমান উপসাগরে চার দিনব্যাপী এক নৌমহড়ায় অংশ নেয়। ভবিষ্যতে ধরনের মহড়া আরো অনেক বেশি হারে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন