গ্রীষ্ম শেষ হলেও সংক্রমণের বিস্তার না কমে বরং নতুন করে বাড়ছে। আগামী দিনগুলো ছোট ও শীতল হবে। এজন্য সামনের মাসগুলোতে মহামারীটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। শরত্কাল মহামারীর একটি কঠিন সময় হতে চলেছে।
এ মৌসুমটি ছোট দিন নিয়ে আসে, যা মানুষকে অভ্যন্তরীণ পরিবেশে আরো বেশি সময় ব্যয় করতে উদ্বুদ্ধ করে। আর এ পরিবেশে ভাইরাসটি সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হয়। এ মৌসুমে মহামারীটি ফ্লু ও অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণের সঙ্গে মিলিত হয়ে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ও আমাদের নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে পারে। ভাইরাসটি থেকে সুরক্ষার বেশির ভাগ নির্দেশনা প্রথম থেকে প্রায় একই রকম রয়েছে—ঘন ঘন ভালোভাবে হাত ধোয়া, অন্যান্য ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক ব্যবহার করা।
এ সময় বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দেয়া বা আনন্দ করার স্থান নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। কারণ অভ্যন্তরীণ পরিবেশের চেয়ে বাইরের খোলামেলা পরিবেশ অনেক বেশি নিরাপদ। তাই বাইরে আবহাওয়া শীতল হলেও মানুষকে অভ্যন্তরীণ পরিবেশে যোগাযোগ সীমাবদ্ধ করার দরকার বলে মনে করেন ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. ডেভিড অ্যারোনফ। জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিল্কেন ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক ডা. লিনা ওয়েন বলেছেন, বাইরে ঠাণ্ডা হওয়া সত্ত্বেও বাইরেই জমায়েত হওয়ার উপায় সন্ধান করুন।
সিএনএন