বাস-ট্রেনে নিরাপদ ভ্রমণে করণীয়

বণিক বার্তা ডেস্ক

করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর অনেক দেশে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আবার অনেক দেশে সেগুলো সীমিত আকারে চালু ছিল। তবে কয়েক মাস থেকে বিভিন্ন দেশে আবার গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। যদিও সামগ্রিকভাবে গণপরিবহনের ব্যবহার হ্রাস পেয়েছে। লকডাউন তুলে নেয়া এবং অফিসগুলো পুনরায় চালু হওয়ায় অনেক যাত্রী ট্রেন, বাস পাতালরেলে ফিরে আসছে।

এমন অবস্থায় একজন সচেতন যাত্রী কীভাবে ঝুঁকি হ্রাস করে নিরাপদে গণপরিবহন ব্যবহার করতে পারে? এজন্য অবশ্যই আপনাকে মাস্ক পরতে হবে, সম্ভব হলে অফিস আওয়ার এড়িয়ে চলা এবং স্টেশন গাড়িতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। পাশাপাশি স্থানীয় জনস্বাস্থ্যের নির্দেশিকাগুলো অনুসরণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এটা আপনার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে।

কভিড-১৯-এর মতো শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত রোগের ক্ষেত্রে একটি আবদ্ধ জায়গায় যত বেশি মানুষ কথা বলবে, হাঁচি কাশি দেবে, সেখানে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তত বেশি থাকবে। আপনি যদি আপনার স্কুটার নিয়ে চলাফেরা করতে পারেন, তাহলে অন্যদের থেকে আপনার দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে এটি আপনার সেরা বিকল্প। আবার ব্যক্তিগত গাড়িগুলোও গণপরিবহনের থেকে বেশি সুরক্ষা দেয়।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের পরিবহন গবেষক নিক টাইলারের মতে, ট্রেন, বাস পাতালরেলে ভ্রমণ করার সময় আপনার গড়িটিতে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থাটি বিবেচনা করা উচিত। কারণ বাইরের খোলা বাতাস ড্রপলেটগুলোকে নষ্ট করে দিতে পারে। এজন্য জানালা থাকা গণপরিবহন সবচেয়ে ভালো। কারণে পাতালরেলের চেয়ে ট্রেন বা বাস ভালো মাধ্যম হতে পারে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের লারা গোসের ২০১৮ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, লন্ডনের ভূগর্ভস্থ পরিবহনে নিয়মিত চলাচলকারীদের ফ্লু জাতীয় লক্ষণগুলোতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি ছিল।

সাধারণত পাবলিক ট্রান্সপোর্টের বায়ু চলাচল ব্যবস্থা বিমানের তুলনায় কম কার্যকর। বিমানগুলোতে কয়েক মিনিট পর পর বায়ুকে ফিল্টারিংয়ের মাধ্যমে রিফ্রেস করা হয়। টাইলার বলেন, বিমানের বায়ু চলাচল অনেক উপায়ে ফিল্টারিং হয়। এটা সেরা সিস্টেমের মধ্যে একটি। অনেক ট্রেন বাসে বায়ুপ্রবাহটি সরাসরি সিলিং থেকে মেঝেতে যায়। এর অর্থ হলো ড্রপলেটগুলো দ্রুত হাত মুখ থেকে মাটিতে ঠেলে দেয়া হয়, যা তুলনামূলক ভালো।

আপনার গণপরিবহন নির্বাচনের সময় ভেতরে কত কথা হয় এবং সেগুলো কত জোরে তা বিবেচনা করা উচিত। কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ শান্ত জায়গাগুলোর তুলনায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সুতরাং চিত্কার করা স্পোর্টস ভক্তদের সঙ্গে ট্রেনে ভ্রমণ করা নীরব যাত্রীদের একটি বাসের চেয়ে বেশি ঝুঁকি তৈরি করবে। সাম্প্রতিক একটি চীনা সমীক্ষায় দেখা গেছে, ট্রেনে বসার দূরত্ব সংক্রমণের ঝুঁকিকে প্রভাবিত করে। একই সারিতে বসা বিশেষত পাশাপাশি বসাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ঝুঁকি দেখা গেছে।

বিবিসি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন