সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদ করে রাখা ভিজিডির ৪৭ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে।
গত সোমবার রাতে খাসপুখুরিয়ায় মহিলা ইউপি সদস্য জহুরা বেগমের বাড়ি থেকে এসব চাল উদ্ধার করেছে চৌহালী উপজেলা প্রশাসন। উদ্ধারকৃত ১ হাজার ৪১০ কেজি চাল খাসপুখুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সরকারের যোগসাজশে মজুদ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য জহুরা বেগমের বিরুদ্ধে সোমবার রাতেই মামলা করে উপজেলা প্রশাসন। যদিও ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, সরকারিভাবে বিতরণের জন্য চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সরকারের যোগসাজশে ভিজিডির ওই চাল বিক্রির জন্য মজুদ রাখা হয়েছিল দক্ষিণ খাসপুখুরিয়া গ্রামের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যা জহুরা বেগমের বাড়িতে। পরে তা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফসানা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে গত সোমবার রাতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। তখন ইউএনও ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই নারী ইউপি সদস্য পালিয়ে যান। এরপর ৪৭ বস্তা চাল উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদের সামনেই উদ্ধারকৃত চাল বিতরণের সময় কার্ডধারীদের কাছ থেকে স্বল্প মূল্যে এসব চাল কেনা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরেই এভাবে রিলিফের চাল কার্ডধারীদের কাছ থেকে স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে বিক্রি করা হচ্ছে। নিয়ম না থাকলেও নিষেধ করেননি চেয়ারম্যান। তাই ভিজিডির চাল উদ্ধারের ঘটনায় চেয়ারম্যানও দায় এড়াতে পারেন না।
এ বিষয়ে খাসপুখুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সরকার জানান, উদ্ধারকৃত চাল বিতরণের সময় আমার এখান থেকেই কেনা হয়েছিল। আমি নিষেধ করলেও চাল ক্রয়-বিক্রয় মজুদকারীরা তা শোনেননি। এ কাজে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই।
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা ইয়াসমিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পাওয়া মাত্রই অভিযান চালিয়ে ভিজিডির চাল উদ্ধার করা হয়েছে এবং অসহায়দের জন্য বরাদ্দের চাল আত্মসাৎ চেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
