কাউনিয়া থানার ওসির বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি বরিশাল

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কাউনিয়া থানার ওসির বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য, দুর্নীতি অমানবিক আচরণের অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী। গত ৩০ জুলাই বিএমপি কমিশনার শাহাবুদ্দিন খানের কাছে -সংক্রান্ত লিখিত আবেদন করেন বরিশাল সদর উপজেলার চড়বাড়িয়া ইউনিয়নের সাপানিয়া এলাকার শরীফবাড়ীর জামাল শরীফ। তবে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয় গতকাল।

তিনি ওই আবেদনে উল্লেখ করেন, আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে কাউনিয়া থানার ওসি আজিমুল করিমের সহযোগিতায় তার পৈতৃক সম্পত্তি দখল, স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করলেও তিনি কোনো প্রতিকার পাননি। মারধরের শিকার হয়ে থানায় গিয়ে বিষয়টি ওসিকে জানালে তিনি আগে চিকিৎসা নিতে বলেন। অথচ চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে স্ত্রী, কলেজপড়ুয়া কন্যা-সন্তানসহ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, তাদের হাসপাতালে যেতে বলে মারধরকারীদের মামলা নিয়ে চরম প্রতারণা করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে হাসপাতালের ছাড়পত্রসহ লিখিত অভিযোগ নিয়ে কাউনিয়া থানায় হাদিস মীরদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে কাউনিয়া থানার ওসি আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ ১৭ হাজার টাকা দাবি করেন। গত ১৬ মে হামলার শিকার হলেও ওসির দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় এখন পর্যন্ত মামলা গ্রহণ করা হয়নি।

তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, ওসি তার সহযোগী এসআই মো. জসীম, এএসআই . রহিম এএসআই হালিম মিলে ওই এলাকার ভূমিদস্যু হাদিস মীরের পক্ষ নিয়ে আমাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওসি আজিমুল করিমের সরাসরি সহযোগিতায় ভূমিদস্যু হাদিস মীর এলাকায় জালজালিয়াতির মাধ্যমে অনেক অসহায় মানুষের জমিজমা অর্থ কেড়ে নিয়ে পথে বসিয়েছে। জমি দখলের অভিযোগে গত ১৭ জুন হাদিস মীরকে ডিএমপি পুলিশ গ্রেফতার করে। এর আগে ১৫ জুলাই দিবাগত রাতে কাউনিয়া টেক্সটাইল মোড়ে দুই মৎস্যজীবীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে কাউনিয়া থানার ওসি আজিমুল করিমের বিরুদ্ধে। ১৬ জুলাই মৎস্যজীবীরা বিএমপি কমিশনার, উপকমিশনারের কাছে লিখিতভাবে অবহিত করেন এবং বিচার প্রার্থনা করেন।

বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান জানান, যেকোনো অভিযোগই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তদন্ত হয়। উল্লিখিত অভিযোগের তদন্ত চলছে। দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন