২০১৯-২০ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে এককভাবে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা রাজস্ব দিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অয়েল গ্যাস অ্যান্ড মিনারেল। আর বেসরকারি খাতে এককভাবে সর্বোচ্চ ৭৫০ কোটি টাকার রাজস্ব দিয়েছে দেশের অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের গ্রুপ। তবে বিশ্বব্যাপী মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের কারণে আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণ কমেছে ১ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানীকৃত পণ্য থেকে মোট রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৪১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
আবুল খায়ের গ্রুপ ইস্পাত, রড, সিমেন্ট, ঢেউটিন, টোব্যাকো, গুঁড়ো দুধ, চা পাতা ও সিরামিক পণ্য আমদানিতে প্রায় সাড়ে ৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব দিয়েছে। বেসরকারি খাতে শীর্ষ পর্যায়ের রাজস্ব প্রদানকারী অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো উত্তরা মোটরস (৩২২ কোটি), ওয়ালটন
(১৪৪ কোটি), মেঘনা
এডিবেল অয়েল লিমিটেড (১২০ কোটি), মেনোকা
মোটরস (১১০ কোটি), টিকে
গ্রুপের শবনম ভেজিটেবল অয়েল (৮৩ কোটি), বাংলাদেশ
হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (৬২ কোটি) ও বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (৬৩ কোটি টাকা)।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার ফখরুল আলম বলেন, রাজস্ব আদায়ের দিক থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠানই শীর্ষে রয়েছে। মূলত জ্বালানি পণ্য আমদানি থেকে আমাদের সিংহভাগ রাজস্ব আদায় হয়। বেসরকারি খাতের শীর্ষ পর্যায়ের আমদানিকারকদের মধ্যে রয়েছে আবুল খায়ের, পিএইচপি, মেঘনা, বসুন্ধরা ও ট্রান্সকম গ্রুপসহ আরো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
এককভাবে দেশের ৭৩ শতাংশ শুল্ক আদায় করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গত অর্থবছরে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানিকারকদের তালিকা থেকে জানা যাচ্ছে, সরকারি সাতটি প্রতিষ্ঠান শুল্ক প্রদানে শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে। বাকি ছয়টি সরকারি প্রতিষ্ঠান মিলে সরকারকে রাজস্ব দিয়েছে মোট ৫ হাজার ৫৪ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো পদ্মা অয়েল, মেঘনা অয়েল, যমুনা অয়েল, ইস্টার্ন রিফাইনারি, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ ও গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি প্রগতি।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের তুলনায় গেল অর্থবছরে রাজস্ব আদায় কমেছে ১ হাজার ৯২১ কোটি টাকা বা ১৯ শতাংশ। এ সময়ে আমদানি মূল্য কমেছে ৫ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা। ২৫ লাখ টন পণ্য কম আমদানি হয়েছে গেল অর্থবছরে। —বিজ্ঞপ্তি
