এক মাসের বেশি সময় ধরে কভিড-১৯ ভাইরাসে প্রতিদিন ৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল এ সংখ্যা ত্রিশের নিচে নেমে এসেছে। কভিড-১৯-এ গতকাল মৃতের সংখ্যা ছিল ২৯। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, জুনের ১ তারিখে কভিড-১৯-এ আক্রান্ত ২২ জনের মৃত্যু ঘটে। পরদিন এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৭-এ। এর পর থেকে নিয়মিতভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা তিরিশ বা চল্লিশের কোঠায় ছিল। জুনের ১৬ তারিখে করোনা প্রাণ কেড়ে নেয় ৫৩ জনের। গত মাসের শেষ দিনটিতে ৩০ জুন সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রাণ হারান, ৬৪ জন। চলতি মাসের শুরুতে অর্থাৎ ১ জুলাই করোনায় প্রাণ হারান ৪১ জন। আর ২ জুলাই ৩৮ জন এবং ৩ জুলাই করোনায় মারা যান ৪২ জন।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১ হাজার ৯৯৭ জন। মৃত ২৯ জনের মধ্যে ২১ জন পুরুষ এবং ৮ জন নারী। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৫৮৭ জন, যা শতকরা ৭৯ দশমিক ৪৭ ভাগ এবং নারী ৪১০ জন, যা শতকরা ২০ দশমিক ৫৩ ভাগ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মৃতদের মধ্যে ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৮৭১টি, নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৭২৭টি। এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ৩২ হাজার ৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৮৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৮৮ জন। এ সময়ে শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৪ দশমিক ২৯ শতাংশ ও শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ।