সংক্রমণ ঝুঁকির কারণে শিশুবন্দিদের মুক্তি দিচ্ছে সরকার

বণিক বার্তা অনলাইন

ছোটখাট অপরাধে আটক শিশু অপরাধীদের মুক্তি দিচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে কয়েকশ শিশু জামিনে মুক্তি পেয়ে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। মূলত ধারণক্ষমতার বেশি বন্দি নিয়ে বেহাল অবস্থায় থাকা শিশু-কিশোর সংশোধন কেন্দ্রগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব শিশুর জামিনে মুক্তির ব্যবস্থা করতে আদালতকে সহযোগিতা করছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

আজ শুক্রবার কর্মকর্তারা একটি বিদেশী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পরিচালিত ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে ছোট অপরাধে আটক শিশু-কিশোরদের জামিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে সহযোগিতা করছে ইউনিসেফ।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশে ইউনিসেফের শিশু নিরাপত্তা প্রধান নাটালি ম্যাককৌলি বলেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ৪০০ শিশুর জামিন হয়েছে। এর মধ্যে তিন শতাধিক এরই মধ্যে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র বা শিশু-কিশোর সংশোধন কেন্দ্রগুলোর যে অবস্থা তাতে শিশুরা সেখানে থাকলে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। কারণ এসব কারাগারের অধিকাংশতেই বন্দি সংখ্যা ধারণাক্ষমতার অনেক বেশি। গাদাগাদি করে থাকতে হয়। পরিবেশও স্বাস্থ্যকর নয়। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এমন সতর্কতা দেয়ার পরই মূলত সরকার ছোট অপরাধে বন্দি শিশু-কিশোরদের ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। 

ইউনিসেফের তথ্য মতে, বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালতে ১৮ বছরের কম বয়সী আসামি আছে এমন বিচারাধীন মামলার সংখ্যা প্রায় ২৩ হাজার।

এ ধরনের শিশুদের জামিনে মুক্তি দেয়ার কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ও জেলা জজ সাইফুর রহমান বলেন, অপর্যাপ্ত কর্মী এবং রসদের অভাবে শিশু সংশোধন কেন্দ্রগুলোর যে অবস্থা তাতে এই সময়ে শিশু-কিশোরদের ছেড়ে দেয়াটা জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ এ অবস্থায় তাদের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা অত্যন্ত কঠিন। 

উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৩৯১ জনে, আর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮১১ জন। যদিও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকৃত আক্রান্ত ও মৃত্যু সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন