২৪০ পিস কিট নিয়ে খুমেকে শুরু হচ্ছে করোনা পরীক্ষা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি খুলনা

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে শুরু হচ্ছে নভেল করোনাভাইরাসের পরীক্ষা। আজ দুপুর ১২টায় নভেল করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে স্থাপিত পিসিআর (পলিমারজ চেইন রিঅ্যাকশন) মেশিনটি উদ্বোধন করা হবে। এর মধ্য দিয়েই শুরু হচ্ছে খুলনা বিভাগে মরণঘাতী ভাইরাসটির পরীক্ষা। এখন পর্যন্ত করোনা পরীক্ষার জন্য ২৪০টি কিট মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গতকাল খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ দুপুর ১২টায় খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক পিসিআর মেশিনটি উদ্বোধন করবেন। 

তিনি বলেন, গত দুদিনে খুলনার বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে ৪৫টি নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে ২২টির রিপোর্ট খুলনায় এসেছে। সব রিপোর্টই নেগেটিভ হয়েছে। এখনো ২৩টি রিপোর্ট আসার অপেক্ষায় আছি। এর মধ্যে খুলনার এনডিসির নমুনাও রয়েছে।

খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. শাহনাজ পারভীন বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের টেস্টের জন্য কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সবাইকে এরই মধ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হচ্ছে। এছাড়া করোনা টেস্টের জন্য একজন এক্সপার্ট কয়েকদিন খুলনায় থেকে সহযোগিতা করবেন। 

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কলেজে ২৪০ পিস কিটস সংরক্ষিত আছে। নমুনা হাতে পাওয়ার পর করোনা পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ - ঘণ্টা সময় প্রয়োজন হবে।

খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী মোহাম্মদ রেজা সেকেন্দার বলেন, বতর্মানে খুমেক হাসপাতালে ২০৬ জন রোগী বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। অনেকেই আতঙ্কের কারণে ভর্তি হতে চাচ্ছেন না।

খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিট মুখপাত্র ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, গতকাল করোনা সন্দেহে নতুন করে একজন ভর্তি হয়েছেন। নিয়ে বর্তমানে খুমেক হাসপাতালে করোনা সন্দেহে তিনজন রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে একজনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। 

খুমেক সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেয়া পিসিআর যন্ত্রটি খুলনা মেডিকেল কলেজের তৃতীয় তলার মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে স্থাপন করা হয়েছে। এজন্য নিযুক্ত করা হয়েছে একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। পিসিআরের মাধ্যমে করোনায় সন্দেহভাজন রোগীর রক্ত, ঘাম কফ পরীক্ষা করা হবে। যে কেউ চাইলেই নিজে নিজে এসে পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারবেন না। এজন্য লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে আসার পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে করোনা শনাক্ত হলেই কেবল ওই রোগীকে ভর্তি করা হবে। 

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন