ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শান্তির আহ্বান সত্ত্বেও দিল্লির দাঙ্গা থামেনি। এ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘও। টানা চারদিন ধরে দাঙ্গার পর বৃহস্পতিবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮-এ দাঁড়িয়েছে এবং আহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে।
গত রোববার রাজধানী দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) সমর্থক ও বিরোধীদের পাল্টাপাল্টি মিছিল থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফর চলাকালে শুরু হওয়া সংঘর্ষ এক পর্যায়ে রূপ নেয় দাঙ্গায়। গতকাল রাতেও মুসলিম অধ্যুষিত উত্তর-পূর্ব দিল্লির ভজনপুরা, মৌজপুর ও কারাওয়াল নগরে অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মৌজপুর, জাফরাবাদের মতো বেশ কয়েকটি এলাকার পরিস্থিতি এখনো থমথমে। মৌজপুরের গলির একটি দোকানে আগুন নেভেনি। অন্য গলিতেও দোকান পুড়েছে। জোহরাপুরী-ভজনপুরায় বুধবার নতুন করে দাঙ্গা হয়েছে। উত্তর প্রদেশ লাগোয়া জোহরাপুরীতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। রাতেও ভজনপুরা, ব্রহ্মপুরী ও মুস্তাফাবাদেও দেখা গেছে অস্থিরতা।
দাঙ্গা শুরুর পর চতুর্থ দিন এক বিবৃতিতে শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের ডাক দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উদ্যোগ নিলেও তা কাজে আসেনি, বরং নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। অন্যদিকে দিল্লি পুলিশের দাবি, ১৮ মামলা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ১৩০ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দাঙ্গা থামানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে। এ ধারাবাহিকতায় বুধবার সন্ধ্যায় তিনি দ্বিতীয়বারের মতো নগরীর দাঙ্গাকবলিত এলাকাগুলোয় যান।
দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর তীব্র সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। একই সঙ্গে তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালেরও সমালোচনা করেছেন। রোববার সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকার ও দিল্লির সরকার উভয়ই পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে বিধানসভায় অভিযোগ করেছেন তিনি।