১৫ দিনে চীন থেকে এসেছেন ২৩০৮ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে গত ১৫ দিনে চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছেন ২ হাজার ৩০৮ জন। একই সময় বাংলাদেশ থেকে চীনে গিয়েছেন ৭ হাজার ৫৭০ জন। গতকাল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল দুপুরে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক বলেন, প্রতিদিন চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে চারটি ফ্লাইট আসা-যাওয়া করে। চায়না ইস্টার্ন, চায়না সাউদার্ন, ইউএস বাংলা ও ড্রাগন এয়ার পরিচালিত এসব ফ্লাইটের মাধ্যমে শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ যাত্রী যাতায়াত করেন।

এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ইমিগ্রেশন সোর্স থেকে আমরা জেনেছি গত ১৫ দিনে চীন থেকে ২ হাজার ৩০৮ জন বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে ভিসা অন অ্যারাইভাল নিয়ে এসেছেন ১ হাজার ৪০ জন। একই সময়ে চীনে গিয়েছেন ৭ হাজার ৫৭০ জন। চান্দ্র নববর্ষ উদযাপনে অনেক চীনা নাগরিক নিজ দেশে গিয়েছেন। তারা হয়তো ১৫-২০ দিনের মধ্যে ফিরবেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। চীনেও বাংলাদেশের কোনো ছাত্র এ রোগে আক্রান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ছাত্ররা আসতে চাইলে নিয়ে আসা হবে। তবে চীন সরকার কাউকে এখনই আসতে দেবে না। তাদের ১৪ দিন পর আনতে দেবে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি এ ১৪ দিন শেষ হবে। আর ফেব্রুয়ারিতে এর প্রকোপ কমে আসবে।

স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, আমরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করব দুই স্তরে। প্রথমত, যেহেতু এ ভাইরাসের উত্পত্তি আমাদের দেশে নয়, সেহেতু আমরা ইমপোর্টেশনটা প্রতিরোধ করব। এজন্য বিমানবন্দরে বহিরাগতদের প্রবেশে সতর্কতা নেয়া হচ্ছে। এর পরও যদিও কোনো কারণে এটি দেশে প্রবেশ করে, তাহলে আমরা ভাইরাস ছড়ানোটা প্রতিরোধ করব। এজন্য আমাদের সব প্রস্তুতি আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন