ঘরের মেঝেতে বৈচিত্র্য আনতে

ফিচার ডেস্ক

মনের মতন ঘর সাজাতে কত পরিকল্পনাই না আমরা করে থাকি! দেয়ালের রঙ, ঘরের আসবাব কেমন হবে, কোথায় কী রাখলে দেখতে ভালো লাগবেসবকিছু নিয়ে হাজারো চিন্তাভাবনা করে থাকি। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন ঘরের মেঝেটি কেমন হওয়া উচিত? ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে ঘরের মেঝের গুরুত্ব কিন্তু কম নয়। মেঝের নতুনত্ব ভাব আপনার ঘরের পুরো লুক পরিবর্তন করে দেবে। সাদামাটার পরিবর্তে মেঝেতে আপনি একটুখানি ব্যতিক্রম ভাব আনতেই পারেন। আজকাল ফলস পাথর, কাঠ, টাইলস ঘরের মেঝের সৌন্দর্যে ভিন্নমাত্রা এনে দিচ্ছে। যারা ঘরের মেঝেতে নতুনত্ব ভাব আনতে চান, তারা কিছু বিষয় মনে রাখতে পারেন।

শোয়ার ঘরটিতে যদি আপনি শুভ্রতার স্পর্শ আনতে চান, সেক্ষেত্রে সাদা হতে পারে আপনার নির্ভরতার রঙ। কারণ সাদা শুভ্রতার প্রতীক। সাদা রঙের মেঝের সঙ্গে সঙ্গে পুরো ঘরে সাদা ভাব আনতে পারেন। এক্ষেত্রে ঘরের আসবাব, বিছানার ছাদর, জানালার পর্দা সাদা রঙের লাগাতে পারেন। মেঝেতে জিওম্যাট্রিক প্যাটার্ন খারাপ লাগবে না। এটি পুরনো ডিজাইন কিন্তু বৈচিত্র্যময়।

ড্রইং রুমে কংক্রিট স্টাইলের নকশা মন্দ নয়। মার্বেল ফ্লোর বহু আগে থেকেই চলে আসছে। মার্বেল ডিজাইনের মেঝেতে রয়েছে আভিজাত্যের ছোঁয়া। অনেক আগের ডিজাইন হলেও এটি এখনো চলনসই। বসার ঘরের মেঝেতে মার্বেল পাথর ব্যবহার করতে পারেন। সাদা-কালো মার্বেলের স্ট্রাইক ডিজাইন আপনার ড্রইং রুমে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

সাদা ধূসর রঙের সংমিশ্রণে স্ট্রাইপ ডিজাইন খুব সাধারণ। সাধারণ ভাবই আপনার ঘরে নিয়ে আসবে অসাধারণ ভাব। পিংককে শিশুদের কালার বলা হয়। কিন্তু পিংক কালারের রয়েছে নানা গুণ। পিংক সাদার মধ্যে দারুণ মেলবন্ধন। দুয়ের সংমিশ্রণে মেঝেতে পছন্দের প্যাটার্ন, নানা নকশা আঁকতে পারেন অথবা টাইলস লাগাতে পারেন।

হলুদ রঙের মেঝে! অনেকেই বিস্মিত হতে পারেন। অসম্ভব কিছু নয়। ঘরের মেঝেতে হলুদ রঙ উজ্জ্বলতা এনে দেবে। যাদের ঘরের মেঝে কাঠের, তারাও রঙ ব্যবহার করতে পারেন। শুধু রঙ না করে, মনের মাধুরী সৃজনশীলতা প্রয়োগ করে নানা নকশার কারুকার্য আঁকতে পারেন।

যারা চকোলেট খেতে পছন্দ করেন, তারা ব্রাউন চকোলেট আকৃতির নকশাকৃত ফলস কাঠ, টাইলস মেঝেতে লাগাতে পারেন। আপনি আপনার রান্নাঘরের মেঝেতে ডিজাইনটি পেইন্ট করতে পারেন অথবা রকম টাইলস কিনে লাগাতে পারেন। এটা সম্পূর্ণ নতুন ব্যতিক্রমী ডিজাইন।

ঘরের মেঝে সবুজ রঙের হলে সতেজভাব অনুভূত হয়। মনে হবে ঘরের ভেতর প্রকৃতির সান্নিধ্য রয়েছে। কোনো একটি ঘরের মেঝে আপনি সবুজে রাঙাতেই পারেন। ঘরের মেঝে একরঙা রাখতে না চাইলে সবুজ রঙ ব্যবহার করে পেইন্ট করুন।

আজকাল অনেক বাড়িতেই কাঠের মেঝে দেখা যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা এক ধরনের ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। যারা চান তাদের ঘরের মেঝে কাঠের হোক, সেক্ষেত্রে হ্যান্ড পেইন্টেড কাঠের মেঝে দারুণ হবে।

অন্যান্য ঘরের মতো রান্নাঘরের মেঝে নিয়েও ভাবা দরকার। রান্নাঘরের মেঝেটা একটু রঙিন হলে দেখতে ভালো লাগে। ফলস কাঠ, পাথর কিংবা টাইল যেটাই ব্যবহার করুন না কেন অবশ্যই উজ্জ্বল হতে হবে। চাইলে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদেরও সহায়তা নিতে পারেন। ঘরের মেঝেতে যত সৃজনশীলতা থাকবে, ততই আপনি অতিথিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন। মেঝেতে ফলস কাঠ, পাথর, টাইলস ব্যবহার করলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনি এসব পরিবর্তনও করতে পারবেন।

 

সূত্র: এলিডেকোর হাউজ বিউটিফুল

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন