খালেদার গ্যাটকো মামলায় চার্জগঠনের শুনানি পেছাল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গ্যাটকো মামলায় চার্জগঠনের শুনানি ফের পিছিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেছে আদালত। 

আজ বুধবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ সৈয়দ দিলজার হোসেন নতুন এদিন ধার্য করেন।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত এই মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থতা নিয়ে কারা হেফাজতে বর্তমানে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।

কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনের স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে এদিন এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। 

এদিন মামলাটিতে চার্জগঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আইনজীবীরা চার্জ শুনানি মুলতবি চেয়ে আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় কারা হেফাজতে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এমতাবস্থায় আসামির অনুপস্থিতিতে চার্জ শুনানি করা আইন সম্মত হবে না।

এর আগে মামলাটিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল সকল আসামির কিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় চার্জগঠনের প্রস্তাব করেন।

মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ২৪ জন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে ৭ জন মারা গেছেন। বর্তমানে আসামি ১৭ জন। অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (অব.) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লি. (গ্যাটকো) এর পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করা হয়। পরের বছর ১৩ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর মামলার দুই আসামি গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ মামলাটি বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০০৮ সালের ২৯ জুলাই হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে। ফলে এরপর থেকে ১০ বছর মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

সর্বশেষ গত বছর ২৫ নভেম্বর হাইকোর্ট ওই দুই আসামির আবেদন খারিজ করে দেয় এবং ৬ মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন