‘লিভারপুলকে নিয়ে চিন্তা করা অবাস্তব। আমরা লেস্টারকে নিয়ে ভাবতে পারি। আমাদের দ্বিতীয় স্থান উদ্ধার করার সুযোগ আছে। আমি আমার দলের সামর্থ্য সম্পর্কে জানি। কিন্তু এই হলো পরিস্থিতি’—উলভারহ্যাম্পটনের কাছে প্রথম লেগের মতো দ্বিতীয় লেগেও ২-৩ গোলে হেরে কথাগুলো বলছিলেন ম্যানচেস্টার বস পেপ গার্দিওলা।
এখন বড় ধরনের নাটকীয়তা কিংবা মিরাকলই পারে সিটির হাতে শিরোপা তুলে দিতে। কিন্তু তেমন কিছুর আশা খোদ গার্দিওলাই করছেন না। লিভারপুলের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে সিটি পিছিয়ে আছে ১৪ পয়েন্টে। তার ওপর লিভারপুল রয়েছে অবিশ্বাস্য ছন্দে। সর্বশেষ দ্বিতীয় স্থানে থাকা লেস্টারের মাঠে গিয়ে তাদের উড়িয়ে দিয়ে এসেছে ৪-০ গোলে। এ অবস্থায় দ্বিতীয় স্থানের জন্য লড়াইকে আপাতত পাখির চোখ করছেন সিটির স্প্যানিশ কোচ।
অথচ উলভসের বিপক্ষে নাটকীয়তায় ভরপুর ম্যাচটিতে দারুণ অবস্থায় ছিল সিটি। মার্চিং অর্ডার পেয়ে ম্যাচের মাত্র ১২ মিনিটের সময় গোলরক্ষক এডারসন মাঠ ছেড়ে গেলে ১০ জন নিয়েই খেলতে হয় সিটিকে। একজন কম নিয়েও ৫০ মিনিটের মধ্যে দুই গোলের লিড তুলে নেয় চ্যাম্পিয়নরা। দুটি গোলই করেন রহিম স্টার্লিং। এর আগে প্রথমার্ধে পেনাল্টি ও ভিআর নিয়ে হয়ে গেল একপ্রস্থ নাটকও। বিরতির পরের সময়টুকু অবশ্য কেবলই উলভস রূপকথার। পরপর তিন গোল করে ৩-২ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় তারা। সেই সঙ্গে এ জয়ে উলভস উঠে এসেছে ৫ নম্বরে। তবে বিস্ময় জাগাচ্ছে এ ম্যাচের পরিসংখ্যান। সিটির দখলে বল ছিল মাত্র ৩৮ শতাংশ, যা কিনা শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে গার্দিওলার ইতিহাসে সবচেয়ে কম। এমনকি আক্রমণেও সিটির চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিল স্বাগতিক দলটি। উলভস ২১টি শট নিয়ে তার আটটি রাখে লক্ষ্যে, অন্যদিকে সিটি মাত্র সাতটি শট নিয়ে তার তিনটি লক্ষ্যে রাখে।
বিরতির পর ম্যাচের ৫০ মিনিটে ফের সিটির লিড বাড়িয়ে দেন স্টার্লিং। কিন্তু এরপর তেতে ওঠে উলভস। ৫৫, ৮২ ও ৮৯ মিনিটে গোল করে আদায় করে নেয় দুর্দান্ত এক জয়।
হারের হতাশা ভোলার সময় কমই? আজ ফের মাঠে নামতে হচ্ছে গার্দিওলার দলকে। ইতিহাদে আজ লিগ ম্যাচে প্রতিপক্ষ শেফিল্ড ইউনাইটেড। আজ লিভারপুল খেলবে সিটি হন্তারক উলভসের বিপক্ষে। হাইভোল্টেজ লন্ডন ডার্বিতে আজ আর্সেনালের মাঠে খেলতে যাবে চেলসি।
বিবিসি ও এএফপি
