দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন আর অবহেলায় জীর্ণ অবস্থায় আছে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার সোনামুখী বাজারের একমাত্র স্মৃতিস্তম্ভ। স্মৃতিস্তম্ভটির এ অবস্থা দেখে ক্ষোভ জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে সোনামুখী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসংলগ্ন স্থানে স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করে উপজেলা প্রশাসন। এর পর থেকে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে ওই স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করতেন স্থানীয়রা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বর্তমানে স্মৃতিস্তম্ভটিতে ঘাস লতাপাতা আর ঝোপঝাড়ে ছেয়ে গেছে। চারপাশে কাদা, পানি ও ময়লা-আবর্জনা।
গতকাল সরেজমিনে দেখা গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসংলগ্ন স্থানে অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে স্মৃতিস্তম্ভটি। এরই মধ্যে চারপাশের প্রাচীর ভেঙে কেবল তিনটি পিলার দাঁড়িয়ে আছে। আশপাশ এলাকাও ভীষণ নোংরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বছর বিভিন্ন দিবসের আগ মুহূর্তে স্মৃতিস্তম্ভটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। তাছাড়া গোটা বছরই ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় হয়ে থাকে এটি।
সোনামুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুল ইসলাম বলেন, গুরুত্ব বিবেচনায় সরকার ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসংলগ্ন ওই স্থানে স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করে। এরপর কয়েক বছর স্থানীয় কিছু বাসিন্দা এর দেখভাল করে। তার পর থেকে স্মৃতিস্তম্ভটি অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এখানে। অথচ স্মৃতিস্তম্ভস্থলে বাজারের ময়লা-আর্বজনা ফেলার পাশাপাশি নোংরা পানি চত্বরে এসে জমে থাকে। এগুলো পরিষ্কার না করায় এর ওপর ঘাস, আগাছা জন্মাচ্ছে। স্মৃতিস্তম্ভটি নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও রক্ষাণাবেক্ষণ জরুরি।
সোনামুখী গ্রামের প্রকৌশলী আরিফ হোসেন বলেন, এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো এ স্মৃতিস্তম্ভ বিভিন্ন দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। বাজারসংলগ্ন ও পানির ড্রেন না থাকায় ওই স্থানে ময়লা জমে। স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য আমি সোনামুখী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাদের একাধিকবার বলেছি।
সোনামুখী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আগজর আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম মাস্টার বলেন, বছরে তিনবার স্মৃতিস্তম্ভে যেতে হয়। ওই সময় পরিষ্কার করে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়। তবে স্মৃতিস্তম্ভটির অবস্থা এত খারাপ তা তারা জানতাম না। এবার জেনেছি, তাই দ্রুতই এর সংরক্ষণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কাজীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী বণিক বার্তাকে বলেন, সোনামুখী বাজারের স্মৃতিস্তম্ভের করুণ দশার কথা কেউ আমাকে জানায়নি। আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। স্মৃতিস্তম্ভের এ দশা অবশ্যই আমাদের জন্য লজ্জার। দ্রুত স্মৃতিস্তম্ভটির সংস্কার ও আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী
- পঞ্চগড়ে নদীর পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
- পাটগ্রামে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী নিহত
- ফেনীতে কিশোরগ্যাং সোয়াগ ৪৭ এর ৬ সদস্য গ্রেফতার
- ঘোড়াঘাটে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২