মানবাধিকার অর্জনে মানবাধিকার শিক্ষা

কাজী ফারুক আহমেদ

আজ ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস। সর্বজনীন মানবাধিকার দিবস ঘোষণার ৭১ বছর পূর্তির দিনটিতে আজ বিশ্বব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত হবে। বিশেষ করে দেশে দেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অর্জন লঙ্ঘনের দিকগুলো যারা পর্যবেক্ষণ করেন তারা এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান মূল্যবান প্রতিবেদন প্রকাশ, তথ্য তত্ত্বকথা উপস্থাপন করেন, তাদের সবার কাছে দিনটি সবিশেষ গুরুত্ববহ। জাতিসংঘের মহাসচিব জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের হাইকমিশনার দিনটিতে মানবাধিকারের সপক্ষে সুচিন্তিত বাণী দেন, যাতে সমসাময়িক মানবাধিকার পরিস্থিতির মূল্যায়নের সঙ্গে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনাও লক্ষ করা যায়। মোট কথা, তাদের এক বছরের বক্তব্যের সঙ্গে আরেক বছরের বক্তব্যে ভিন্নতা বৈচিত্র্য থাকে। জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস বছর যেমন তার বাণীতে যুবসমাজের ভূমিকার ওপর প্রাধান্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী তরুণ জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশের অধিকার, নারী-পুরুষের সমঅধিকার, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে যাচ্ছে, সংগঠিত সোচ্চার হচ্ছে। তাদের সম্মুখযাত্রা ভবিষ্যৎ শান্তি, ন্যায়পরায়ণতা সমান সুযোগ লাভের লক্ষ্যে পরিচালিত। কারণ প্রতিটি ব্যক্তি নাগরিক, রাজনৈতিক, আর্থিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক অধিকার পাওয়ার যোগ্য। তার বর্ণ, ধর্ম, সামাজিক উৎস, লিঙ্গ, রাজনৈতিক মতাদর্শ, শারীরিক সক্ষমতা-অক্ষমতা, আয় অথবা অবস্থান যা- হোক না কেন।দিবসটিকে উপলক্ষ করে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার মিচেল ব্যাচেলেট তাঁর বাণীতে বলেছেন, ‘যেকোনো বিবেচনায় প্রতিটি মানুষের বৈষম্য-বঞ্চনা থেকে মুক্ত হয়ে বাঁচার অধিকার রয়েছে। আমাদের প্রত্যেকেরই শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, ন্যায়ানুগ আর্থিক সুবিধা, শোভন জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে। সেজন্য দৃঢ় মনোবল নিয়ে মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়াতে হবে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ রিপোর্ট

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট ২০১৯- বাংলাদেশ প্রসঙ্গে নাগরিকদের বিভিন্ন অধিকার ভোগ নিয়ে নেতিবাচক দৃষ্টান্ত সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ দুটি বিষয়ই স্থান পেয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহ বাংলাদেশে হয় কথা যেমন রিপোর্টে স্থান পেয়েছে, একই সঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক, স্বাস্থ্যসহ নানা সেবা প্রদান নিরাপত্তা বিধানের সপ্রশংস উল্লেখও করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ২৬ ধারায় বলা হয়েছে: ‘প্রত্যেকের শিক্ষা লাভের অধিকার আছে। শিক্ষা হবে নিখরচায়, অন্তত প্রাথমিক মৌলিক পর্যায়গুলোয়। প্রাথমিক শিক্ষা হবে বাধ্যতামূলক। কারিগরি পেশাগত শিক্ষা সাধারণভাবে সহজলভ্য হবে এবং উচ্চশিক্ষায় সবার অভিগম্যতা থাকবে, যা হবে মেধার ভিত্তিতে দীর্ঘ ৬৭ বছর পর ২০১৫ সালে প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিক সভায় মিলিত হয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বকে বদলে দিতে ১৭টি লক্ষ্য, যা এসডিজি নামে খ্যাত, অনুমোদন করেছেন, যেখানে কারিগরি বৃত্তিমূলক উচ্চশিক্ষাকে যুক্ত করা হয়েছে। তবে ১৯৪৮ সালের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায় মানবাধিকার শিক্ষার উল্লেখ থাকলেও দীর্ঘদিন বিষয়ে বিভিন্ন দেশের সরকার অথবা এনজিওদের দিক থেকে কোনো উদ্যোগ না থাকার প্রেক্ষাপটে ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ ভিয়েনায় একটি বিশ্ব সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলন থেকে পরিস্থিতির যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত হয়। সৃষ্টি হয় জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের পদ, যার দপ্তরে মানবাধিকার-সংক্রান্ত শিক্ষা জনসাধারণের জন্য প্রাপ্তব্য তথ্য সরবরাহের দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়। ভিয়েনায়

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন