অর্থনৈতিক উচ্চপ্রবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাহাজ চলাচল ও পণ্যের ওঠানামাও এ বছর বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের ১১ মাস চলে গেছে। কিন্তু জাহাজ চলাচল বেড়েছে মাত্র ১ শতাংশ। পণ্যের ওঠানামাও প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম হয়েছে। গত বছর পণ্য ওঠানামায় ১১ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হলেও এ বছর বেড়েছে ৬ শতাংশেরও কম। তবে সরকারি প্রকল্পের জন্য আমদানি করা বড় অংকের পণ্যসামগ্রী বাদ দিলে বন্দরে পণ্য ওঠানামার প্রবৃদ্ধি আরো কম হবে বলে মনে করছে বেসরকারি আমদানিকারক ও অনানুষ্ঠানিক উৎসগুলো।
দেশে সমুদ্রপথে আমদানি-রফতানির ৯২ শতাংশ সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। কনটেইনার এবং খোলা—এ দুই ধরনের পণ্যের ভিত্তিতে বন্দরের প্রবৃদ্ধি হিসাব করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি বছরের ১১ মাসে (জানুয়ারি-নভেম্বর) খোলা পণ্য ওঠানামা হয়েছে মোট ৯ কোটি ৩৩ লাখ ৮৮ হাজার টন। গত বছরের একই সময়ে যেখানে এর পরিমাণ ছিল ৮ কোটি ৮২ লাখ ৭১ হাজার টন। অর্থাৎ চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে খোলা পণ্য ওঠানামায় চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। যদিও ২০১৮ সালের একই সময়ে এক্ষেত্রে ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ২০১৭ সালের প্রথম ১১ মাসে খোলা পণ্য ওঠানো-নামানোর পরিমাণ ছিল ৭ কোটি ৭২ লাখ ৩৩ হাজার টন।
প্রায় একই হারে কমেছে কনটেইনারভর্তি পণ্য ওঠানো-নামানোর প্রবৃদ্ধিও। চট্টগ্রাম বন্দরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের ১১ মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পণ্য ওঠানামা হয়েছে ২৮ লাখ ৮ হাজার ৭৯৯ টিইইউ (টোয়েন্টি ফিট ইকুইভ্যালেন্ট ইউনিটস)। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৬ লাখ ৪৯ হাজার ২১৭ টিইইউ। এ হিসাবে কনটেইনারভর্তি পণ্য ওঠানামায় চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে কনটেইনার ওঠানামায় যেখানে প্রায় ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবৃদ্ধির এ নিম্নগতি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য কমারই প্রতিফলন। দেশ থেকে রফতানি পণ্যবাহী কনটেইনার যাওয়া অনেক কমে গেছে। একইভাবে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও পণ্য আমদানিও কম হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবৃদ্ধিতে।
প্যাসিফিক গ্রুপের পরিচালক সৈয়দ এম তানভির এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, পোশাক খাতের রফতানি যে হারে কমছে ?