মার্সেসাইড ডার্বিতে এভারটনকে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আট পয়েন্টের লিড ধরে রাখল লিভারপুল। ঘরের মাঠে অল রেডদের গোল উৎসবে নেতৃত্ব দেন ডিভোক ওরিগি। তিনি করেন জোড়া গোল। এছাড়া লক্ষ্যভেদ করেন জারদান শাকিরি, সাদিও মানে ও জর্জিনিয়ো ভিনালদাম। এ রাতে হোসে মরিনহোর টটেনহামকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি একই ব্যবধানে হারায় অ্যাস্টন ভিলাকে ও লেস্টার সিটি ২-০ গোলে হারায় ওয়াটফোর্ডকে।
নিষেধাজ্ঞায় থাকা গোলকিপার অ্যালিসন ও চোটগ্রস্ত ফাবিনহোকে পাননি লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লোপ। তবু আক্রমণভাগের দুই সেরা খেলোয়াড় মোহাম্মদ সালাহ ও রবার্তো ফিরমিনোকে বিশ্রামে রাখার বিলাসিতা দেখান এ জার্মান কোচ। এর পরও আয়েশি জয় পেল অল রেডরা!
অ্যানফিল্ডে প্রথমার্ধেই চার-চারটি গোল পেয়ে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে লিভারপুল। এ সময় ওরিগি ও শাকিরির দুটি গোল তৈরি করে দেন সাদিও মানে। ১৭ মিনিটেই ২-০ গোলের লিড নেয় অল রেডরা। ২১ মিনিটে মাইকেল কিনের গোলে ব্যবধান কমায় এভারটন। ৩১ মিনিটে ওরিগির গোলে ফের লিড বাড়ায় লিভারপুল। লভরেনের পাস থেকে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন বেলজিয়ান স্ট্রাইকার। ৪৫ মিনিটে প্রতি-আক্রমণ থেকে গোল করেন মানে (৪-১)। লিভারপুলের রক্ষণের ভুলে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান কমিয়ে ৪-২ করেন রিচার্লিসন।
দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুলের জন্য তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেনি অবনমন শঙ্কায় থাকা এভারটন। ৯০ মিনিটে ভিনালদাম লিভারপুলের পঞ্চম গোল করলে বড় লজ্জা নিয়েই মাঠ ছাড়ে টফিসরা (৫-২)। এ জয়ে শীর্ষস্থান সংহত হয়েছে লিভারপুলের, তেমনি অবনমন অঞ্চলে ১৮তম স্থানে নেমে গেছে এভারটন।
সাবেক ক্লাব ম্যানইউকে হারানোর পণ করেছিলেন টটেনহাম কোচ মরিনহো। তবে তার আশা পূরণ হলো না। মার্কাস র্যাশফোর্ড জোড়া গোল করে সাবেক কোচকে হতাশাই উপহার দিলেন। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ষষ্ঠ মিনিটে ম্যানইউকে এগিয়ে দেন র্যাশফোর্ড। ৩৯ মিনিটে ডেলে আলি দুর্দান্ত এক গোলে ব্যবধান কমালেও ৪৯ মিনিটে পেনাল্টিতে গোল করে আবারো ব্যবধান বাড়ান র্যাশফোর্ড।
ইনজুরি থেকে ফিরেই চেলসির জয়ের নায়ক ট্যামি আব্রাহাম। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ২৪ মিনিটে চেলসিকে তিনিই এগিয়ে দেন। এরপর ৪৮ মিনিটে ম্যাসন মাউন্টকে দিয়ে করিয়েছেন ব্লুজদের দ্বিতীয় গোলটিও। এদিকে জেমি ভার্ডি ও জেমস ম্যাডিনসনের গোলে ওয়াটফোর্ডকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের