হঠাৎ সংকটে দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে স্বাভাবিকের কয়েক গুণ। ফলে বেশি দামের আশায় কৃষকদের মধ্যেও কৃষিপণ্যটি আবাদে আগ্রহ বেড়েছে। অনেকেই গত মৌসুমের থেকে বাড়িয়েছেন জমির পরিমাণ। এ অবস্থায় চলতি মৌসুমে যশোর অঞ্চলের ছয় জেলা ও নওগাঁয় কৃষিপণ্যটি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে।
সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে বীজ বপনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া পেঁয়াজ আবাদের মৌসুম চলবে আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। এবার যশোর অঞ্চলের ছয় জেলায় (যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর) পণ্যটি আবাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে। এরই মধ্যে ৫ হাজার ২৫৮ হেক্টরে এ আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে নওগাঁয় চলতি মৌসুমে মোট ৩ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। এ থেকে জেলাটিতে পেঁয়াজ উৎপাদনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে ৩৪ হাজার ৮৮৪ টন।
যশোর সদরের সাতমাইল গ্রামের সাহাদত হোসেন গত বছর পাঁচ কাঠা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছিলেন। এ বছর বেশি দামের আশায় তিনি আবাদ বাড়িয়েছেন দুই বিঘা জমিতে। একইভাবে মাহিদিয়ার মোফাজ্জেল হোসেন নামে আরেক কৃষক এবার এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ শুরু করেছেন, যা গত বছরের থেকে বেশি।
চূড়ামনকাটি গ্রামের কৃষক তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, গত বছর পাঁচ কাঠা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছিলাম। উৎপাদিত পেঁয়াজ পাইকারি হিসেবে প্রতি কেজি বিক্রি করেছিলাম ২৫ টাকা দরে। অথচ সেই পেঁয়াজ এখন খুচরা ২০০ টাকা কেজি দরে কিনে খেতে হচ্ছে। তাই এবার বেশি দামের আশায় এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদের প্রস্তুতি নিয়েছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচলক এমদাদ হোসেন শেখ বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করবে। আশা করা হচ্ছে, এর কিছুদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে। তবে দেশী পেঁয়াজ পুরোদমে বাজারে উঠতে সময় লাগবে আরো দুই থেকে আড়াই মাস। তিনি বলেন, এবার দাম বেশি থাকায় কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছেন। ফলে লক্ষ্যমাত্রার থেকে পণ্যটির আবাদও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অঞ্চলটির ছয় জেলার মধ্যে এবার সব থেকে বেশি পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে কুষ্টিয়ায় ১১ হাজার ২৫০ হেক্টরে। এখন পর্যন্ত এ জেলায় ১ হাজার ৪৯৫ হেক্টরে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে সব থেকে কম আবাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৬১০ হেক্টর। এছাড়া ১ হাজার ৫০০ হেক্টর করে