শাহরুখ খানের বাজিগর ছবিটি মুক্তি
পেয়েছিল ১৯৯৩ সালে, পরিচালনা করেছিলেন আব্বাস বুরমাওয়ালা, সহপরিচালক ছিলেন মাস্তান বুরমাওয়ালা। বলিউডে
এ পরিচালক জুটি আব্বাস-মাস্তান নামেই পরিচিত।
আব্বাস-মাস্তান পরিচালিত বাজিগর ছিল ১৯৯৩
সালের দেওয়ালি রিলিজ। ছবিটি সে সময় সুপারহিট হয়েছিল এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ছবিটি
বলিউডের কাল্ট ছবি হয়ে ওঠে। সম্প্রতি ছবিটি মুক্তির ২৬ বছর পূর্ণ করেছে। এ উপলক্ষে
কথা উঠেছে বাজিগরের রিমেকের। বাজিগরের রিমেক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আব্বাস বুরমাওয়ালা
বলেছেন, ‘শাহরুখ খান বাজিগরে যে চরিত্রটিকে সৃষ্টি করেছিলেন, সেটা
এ যুগে করতে কেউ সহজে রাজি হবে না। আমার সন্দেহ আছে, এ যুগের নতুন তারকারা কেউ ওই চরিত্রটি
করতে চাইবেন কিনা।’
এ যুগে রিমেক বেশ জনপ্রিয় প্রবণতা।
আব্বাস বুরমাওয়ালা মনে করেন,
বাজিগরের রিমেকে শাহরুখের চরিত্রে যোগ্য কাউকে
খুঁজে পাওয়াটা কঠিন। ‘আমি জানি না যদি কখনো রিমেক তৈরি হয়, তাহলে বাজিগরে শাহরুখের চরিত্রটিকে
ফুটিয়ে তুলতে পারবেন এমন কাউকে পাওয়া যাবে কিনা। এমনকি যদি চরিত্রটিকে কিছুটা
পরিবর্তনও করা হয়, তাহলেও সেটাকে শাহরুখের মতো করে কেউ করতে পারবেন বলে আমি মনে করি না।’
আব্বাস বাজিগরের রিমেকের পক্ষে না, তবে
সিক্যুয়াল হলে তার কোনো আপত্তি নেই,
‘আমরা যদি সিক্যুয়ালের উপযুক্ত চিত্রনাট্য পাই, তাহলে
অবশ্যই সেটা নির্মাণের চেষ্টা করব।’
আব্বাস-মাস্তান বাজিগর ছবিতেই প্রথমবার
শাহরুখ খানের পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। ছবিতে শাহরুখের চরিত্রটি ছিল এমন, যা
নৈতিক প্রেক্ষিতে ভালো কিংবা মন্দ মানুষ কোনোটাই ছিল না। ছবিটি শাহরুখ খানের
তারকাখ্যাতি তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল। আব্বাস-মাস্তান ১৯৯৯ সালে শাহরুখ খানকে নিয়ে
নির্মাণ করেছিলেন বাদশাহ। সেটাই ছিল এ পরিচালক জুটির সঙ্গে শাহরুখের শেষ কাজ।
আব্বাস-মাস্তান আবারো শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন।
আব্বাস বলেছেন, ‘আমরা
একটা উপযুক্ত চিত্রনাট্য খুঁজছি,
যেটা শাহরুখকে আগ্রহী করবে। আমরা তার সঙ্গে আরেকটা
ছবিতে কাজ করতে আগ্রহী।’
শাহরুখকে নিয়ে বলতে গিয়ে আব্বাস
বলেছেন, ‘তিনি এখনো দারুণ জনপ্রিয়। বাজিগরে কাজ করার সময় তার মধ্যে যে প্যাশন
এবং অধ্যবসায় দেখেছি, সেটা এখনো একই রকম আছে। তিনি ছবি ছাড়া আর কিছু নিয়ে ভাবতেন না। এ রকম
অধ্যবসায় আজকাল আর খুব বেশি দেখা যায় না।’
সূত্র: এনডিটিভি