হাইকোর্টে জামিন পেলেন এমপি হারুন

বণিক বার্তা অনলাইন

শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও বর্তমান সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ। শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করার পর তা বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাকে ৫ বছরের সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত।

এই রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করেন এমপি হারুন। সোমবার দুপুরে আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের বেঞ্চ তাকে ৬ মাসের জামিন দেন।

গত ২১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এমপি হারুনকে ৫ বছরের দণ্ড দেন। রায়ে এমপি হারুনকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ওইদিনই তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ মামলার অন্য আসামি চ্যানেল নাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান বাপ্পীর দুই বছর কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আরেক আসামি গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি আমদানীকৃত শুল্কমুক্ত কোটার গাড়ি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আসামিদের মধ্যে হারুন উর রশিদ ছাড়া বাকিরা পলাতক।

বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করে তা বিক্রির অভিযোগে হারুন উর রশিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ঢাকার তেজগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়। তদন্তের পর আসামিদের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৮ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোনায়েম হোসেন। একই বছরের ২০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার শুরু হয়। পরে অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা উচ্চ আদালতে যাওয়ায় স্থগিতাদেশে নিম্ন আদালতের বিচারকাজ দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল।

উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হারুন উর রশিদ একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদীয় দলের নেতৃত্বে আছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন