ব্রিটেনে একটি ট্রাক কনটেইনারে ৩৯টি মরদেহ পাওয়ার ঘটনায় জড়িতদের ‘কঠোর শাস্তি’র দাবি জানিয়েছে চীন। ওই মরদেহগুলো চীনা নাগরিকদের বলেই ধারণা ব্রিটিশ পুলিশের। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে চালককে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। খবর রয়টার্স।
১১টি মরদেহের ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এগুলো শনাক্তের চেষ্টা করছেন। কীভাবে এতগুলো মানুষের মৃত্যু হলো এবং মানব পাচার চক্রে কারা জড়িত, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে লরিটির ২৫ বছর বয়সী চালক মো. রবিনসনকে গ্রেফতার করেছে এসেক্স পুলিশ। নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের আর্মাগ কাউন্টির পোর্টাডাউনের বাসিন্দা রবিনসন।
লন্ডনের চীনা দূতাবাস বলেছে, তারা এসেক্সে একটি দল পাঠিয়েছে। তবে পুলিশ এখনো মরদেহগুলোর জাতীয়তা যাচাই করে দেখতে পারেনি বলে জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং।
ব্রিটিশ পক্ষ থেকে শিগগিরই মরদেহগুলোর পরিচয় যাচাই এবং নিশ্চিত করে কী হয়েছে তা বের করার পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর সাজা দেয়া হবে, চীন এমনটিই আশা করে বলে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান চুনিং।
বৃহস্পতিবার পুলিশ জানায়, উদ্ধার পাওয়া মরদেহগুলোর আটটি নারীর আর ৩১টি পুরুষের বলে তারা নিশ্চিত হয়েছে এবং সব মরদেহই চীনা নাগরিকের বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা এবং মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে আরো সময় লাগবে বলে জানায় তারা।