নির্মাণ খাতের ‘বাবল’ কতদিন থাকবে?

মেহেদী হাসান রাহাত

আট বছরে দেশের নির্মাণ খাতের আকার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। নির্মাণ খাতের বাবল মূলত সরকারের মেগা প্রকল্পকে ঘিরে। এসব মেগা প্রকল্পে চাহিদার কথা বিবেচনা করে রড সিমেন্ট খাতের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সম্প্রসারণ করেছেন কারখানার উৎপাদন সক্ষমতা। যদিও যেসব মেগা প্রকল্পকে কেন্দ্র করে বাড়তি বিনিয়োগ তার অনেকগুলোই আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সমাপ্ত হবে। কিছু প্রকল্পের কাজ আবার এরই মধ্যে শ্লথ হয়ে পড়েছে। মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার অভাবে শঙ্কা রয়েছে আগামীতে আবাসন খাতের চাহিদা বৃদ্ধিতেও। সব মিলিয়ে নির্মাণ খাতের বাবল কতদিন থাকবে, সে প্রশ্ন উঠছে।

কয়েক বছর ধরেই উচ্চহারে বাড়ছে নির্মাণ খাতের বাজার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্থির মূল্যে ২০১১-১২ অর্থবছর দেশের নির্মাণ খাতের আকার ছিল ৪৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। ২০১২-১৩ অর্থবছর তা ৪৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। ২০১৩-১৪ অর্থবছর এর আকার আরো বেড়ে দাঁড়ায় ৫২ হাজার ২০০ কোটি ২০১৪-১৫ অর্থবছর ৫৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকায়। নির্মাণ খাতের আকার বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকে পরবর্তী বছরগুলোয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছর খাতটির আকার বেড়ে হয় ৬১ হাজার ৫০০ কোটি ২০১৬-১৭ অর্থবছর ৬৭ হাজার কোটি টাকা। পরের অর্থবছর ৭৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকায় পৌঁছে যায় নির্মাণ খাতের আকার। আর সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছর দেশের নির্মাণ খাতের আকার দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজার ৬৮১ কোটি টাকায়।

নির্মাণ খাতের প্রবৃদ্ধিতে আবাসন খাতের অবদান থাকলেও সরকারের মেগা প্রকল্পগুলো এক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রেখেছে। এসব প্রকল্পের ওপর ভর করেই রড-সিমেন্টের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়েছেন খাতের উদ্যোক্তারা।

খাতসংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, দেশে ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪০টির বেশি। ইস্পাতের বাজারের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে দুই প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড (বিএসআরএম) একেএসের দখলে রয়েছে বাজারের ৩০ বিএসআরএমের দখলে ২৭ শতাংশ। এছাড়া ইস্পাতের বাজারের শতাংশ কবির স্টিল রি-রোলিং (কেএসআরএম), শতাংশ আনোয়ার ইস্পাত লিমিটেড এবং শতাংশ পিএইচপি গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শতাংশ করে বাজার অংশীদারিত্ব রয়েছে রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড (আরএসআরএম), বায়েজিদ স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন