২০১৯ সালকে ভারতের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং একটি বছর বলে উল্লেখ করেছে মার্কিন বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস। অর্থনীতির এ নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও ফোর্বসের চলতি বছরের সবচেয়ে ধনী ভারতীয়দের তালিকার শীর্ষস্থানটি দখল করে নিয়েছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। এ নিয়ে টানা ১২ বার তালিকার শীর্ষে থাকলেন আম্বানি, চলতি বছর তার সম্পদের পরিমাণ বেড়ে ৫ হাজার ১৪০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ফোর্বসের ভাষ্যমতে, আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের তিন বছর বয়সী টেলিকম ইউনিট ‘জিও’ ভারতের বৃহত্তম মোবাইল ক্যারিয়ারগুলোর অন্যতম একটিতে পরিণত হওয়ায় তার মোট সম্পদে আরো ৪১০ কোটি ডলার যুক্ত হয়েছে। টেলিকম ইউনিটটির সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৩৪ কোটি।
তবে এবারের ফোর্বসের তালিকায় ভারতের মন্থর অর্থনীতির প্রভাব স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। সামগ্রিকভাবে চলতি বছর ফোর্বস ইন্ডিয়ান রিচ লিস্টের ধনীদের সম্পদ গত বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ কমে ৪৫ হাজার ২০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ভারতের ১০০ ধনী ব্যক্তির অর্ধেকের বেশি জনেরই নিট সম্পদের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে এ অবনতি সত্ত্বেও বেশকিছু টাইকুনের সম্পদে বড় ধরনের উল্লম্ফনও দেখা গেছে। তাদের একজন ভারতের অবকাঠামো টাইকুন গৌতম আদানি। চলতি বছর আট ধাপ এগিয়ে ফোর্বসের তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছেন তিনি। নয় বছর অপেক্ষা শেষে অস্ট্রেলিয়ায় একটি কয়লা প্রকল্পের কাজ শুরু করার অনুমোদন পাওয়ার পর চলতি বছর আদানির নিট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৭০ কোটি ডলার। এছাড়া বিমানবন্দর থেকে শুরু করে ডাটা সেন্টারসহ বেশকিছু নতুন ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি।
আম্বানি ও আদানির পর ফোর্বসের এ তালিকায় আরো রয়েছেন যথাক্রমে হিন্দুজা ব্রাদারস, নিট সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৫৬০ কোটি ডলার; পালোনজি মিস্ত্রি, ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ও ব্যাংকার উদয় কোটাক, ১ হাজার ৪৮০ কোটি ডলার।
এশিয়া ওয়েলথের সম্পাদক ও ফোর্বস এশিয়ার ভারতীয় সম্পাদক নাজনীন কারমালি বলেন, ভারতের মন্থর অর্থনীতি চলতি বছর দেশটির শীর্ষ ১০০ ধনীর মোট সম্পদের পরিমাণ কিছুটা কমালেও, অনেকেই এ চ্যালেঞ্জে হার না মেনে এগিয়ে গেছেন।
চলতি বছরের তালিকায় ছয় নবাগত ধনী আত্মপ্রকাশ করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে সিং পরিবার (তালিকায় ৪১ নম্বরে, মোট সম্পদের পরিমাণ ৩১৮ কোটি ডলার)। চলতি বছরের জুলাইয়ে আলকেম ল্যাবরেটরিজের প্রতিষ্ঠাতা সাম্প্রদা সিংয়ের মৃত্যুর পর তার সম্পদের উত্তরাধিকারী হয়েছে পরিবারটি। তালিকার অন্যান্য নবাগতরা হলেন ৩৮ বছর বয়সী বাইজু রবীন্দ্র (৭২ নম্বর, মোট সম্পদ ১৯১ কোটি ডলার); মহিন্দ্র প্রসাদ (৮১ নম্বর, ১৭৭ কোটি ডলার); মনোহর লাল ও মধুসূদন আগারওয়াল (৮৬ নম্বর, ১৭০ কোটি ডলার); রাজেশ মেহরা (
