উড়োজাহাজ পরিবহন কোম্পানিগুলোর মধ্যে চলতি বছর দেউলিয়া হয়ে পড়ার হার আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে। ভারতীয় জেট এয়ারওয়েজ, ব্রিটিশ ট্রাভেল গ্রুপ টমাস কুক ও ব্রাজিলের অ্যাভিয়েংকার মতো উড়োজাহাজ পরিবহন কোম্পানিগুলো দেউলিয়া হয়ে পড়ায় এ খাতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট শিল্প তথ্য। খবর বিবিসি।
চলতি বছর এ খাতের পতনে যে গতি দেখা গেছে, তা ইতিহাসে আর দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ব্যুরো অব এভিয়েশন (আইবিএ)। সংস্থাটি এমন ১৭টি কোম্পানির উড়োজাহাজের বহর নিজ নিজ ইজারাদার বা কর্তৃপক্ষের কাছে ফিরে আসার হিসাব রেখেছে, যেগুলোর অধিকাংশই চলতি বছরের মধ্যে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে।
এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে একদিকে সাশ্রয়ী খরচে সেবা দেয়ার প্রতিযোগিতা, অন্যদিকে জ্বালানির উচ্চ মূল্যের কারণে অপেক্ষাকৃত ছোট কোম্পানিগুলো রীতিমতো কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। সমস্যাটা হচ্ছে, যেসব ছোট কোম্পানিকে শক্তিশালী ডলারের বিপরীতে জ্বালানি কিনতে হয়, কিন্তু টিকিট বিক্রি করতে হয় ইউরো বা পাউন্ডে, অন্যদিকে কেরোসিন আর উড়োজাহাজও কিনতে হয় মার্কিন কারেন্সিতে, তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উত্তর গোলার্ধের শীতকালীন মৌসুমে চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে আরো অনেকগুলো উড়োজাহাজ কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আইবিএর প্রধান নির্বাহী পিল সেমাউর। তবে মার্কিন এয়ারলাইনসগুলো আয়ের ‘ন্যাচারেল হেজের’
মাধ্যমে নিজেদের বিমান খাতে বিরাজমান প্রতিকূল অবস্থার বাইরে থাকতে পেরেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে উড়োজাহাজ খাতের চলমান প্রতিকূল অবস্থা ছোট কোম্পানিগুলোর জন্য সর্বনাশ ডেকে আনলেও শক্তিশালী কোম্পানির জন্য সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করেছে। শক্তিশালী কোম্পানিগুলো দেউলিয়াদের পরিত্যক্ত উড়োজাহাজ, ট্রাফিক ও বিমানবন্দরের স্লট কিনছে।
উল্লিখিত কোম্পানিগুলো ছাড়া চলতি বছর আরো যে কয়েকটি কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে পড়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ফ্রান্সের আজলে আজুর ও এক্সএল এয়ারওয়েজ, জার্ম্যানিয়া, ফ্লাইবমি, স্লোভেনিয়ার আদরিয়া। আদরিয়া চলতি সপ্তাহে নিজেকে দেউলিয়ার ঘোষণার জন্য আবেদন জানিয়েছে।
এদিকে ভারতে সাশ্রয়ী খরচের স্পাইসজেট ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের আরো উড়োজাহাজ নিজেদের বহরের সংযুক্ত করা কথা ঘোষণা করেছে।