আজ ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী : তিস্তা, এনআরসি ইস্যু তুলবে বাংলাদেশ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

চারদিনের সরকারি সফরে আজ ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি প্রধান অতিথি হিসেবে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত ইন্ডিয়ান ইকোনমিক সামিটেও অংশ নেবেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দুই দেশের মধ্যে ১০- ১২টি চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী . কে আব্দুল মোমেন। এছাড়া দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ তিস্তার পানি বণ্টন, আসামের নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) এবং সীমান্তে হত্যার মতো ইস্যুগুলো তুলে ধরবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর সফরে কতগুলো সমঝোতা বা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবেসাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেকগুলো সমঝোতা সই হবে। ঠিক কতগুলো সই হবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে ১০-১২টি তো হবেই। এর মধ্যে যুব-ক্রীড়া, সংস্কৃতি, নৌ-পরিবহন, অর্থনীতি, সমুদ্র গবেষণা, পণ্যের মান নির্ণয়, বাণিজ্য, শিক্ষা, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি খাতে একাধিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

. কে আব্দুল মোমেন জানান, শেখ হাসিনার এবারের সফরে সীমান্তে হত্যা, গঙ্গা তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি আলোচনায় নিয়ে আসবে ঢাকা। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে আরো অবাধ যাতায়াত স্থাপন, বাণিজ্য শুল্কমুক্ত, নৌ সমুদ্রপথে যোগাযোগ, রেল, বিমান সড়কে যাতায়াত আরো সহজ করতে করণীয় নির্ধারণ হবে। সমুদ্র সহযোগিতা কীভাবে আরো বাড়বে, তাও আলোচনা হবে। নৌ-পরিবহনের পরিধি সংখ্যা আরো বাড়ানোর বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পাবে।

নৌ-পরিবহনের নতুন চুক্তিতে কী থাকছেএমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে নৌপথে যাতায়াত শুরু হয়েছে। এর পরিধি আরো বাড়বে। বাংলাদেশ, ভারত নেপাল এই পুরো এলাকাতেই আমরা নৌ-পরিচালনা করার চিন্তাভাবনা করছি। তাছাড়া সমুদ্রক্ষেত্রে পরিচালনা কীভাবে বাড়ানো যায়, সেটি আলোচনায় আসতে পারে।

প্রতিবেশী ভুটান বা নেপালের সঙ্গে কাঁটাতারের বেড়া না থাকলেও বাংলাদেশের সঙ্গে কাঁটাতারের বেড়াকে কীভাবে দেখছে ঢাকা? এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের জনসংখ্য বেশি। ভারতের সঙ্গে আমাদের উষ্ণ সম্পর্ক। ভারত তাদের কাজ করে, আমরা আমাদের কাজ করি।

সীমান্তে হত্যা নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন কিনা জানতে চাইলে .

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন