নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে বিভিন্ন নৌযানে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। গত রোববার বিকালে তারাব এলাকায় সুলতানা কামাল ব্রিজের নিচে এ অভিযান পরিচালনা
করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির নগদ ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহূত দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. মেহেদী হাসান (২৫), মো. আলমগীর হোসেন (৩১),
মো. আনোয়ার হোসেন (২৪), মো. মোমিন (৪০), মো. আকতার হোসেন (২০),
মো. কাওসার হোসেন (২৯), মো. রানা মিয়া (২৩) ও মো. জহিরুল ইসলাম (১৯)।
গতকাল বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাবের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানসহ বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে গ্রেফতারকৃতরা শীতলক্ষ্যা নদীতে চলাচলরত প্রত্যেকটি নৌযান থেকে শুল্ক আদায়ের নামে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে আসছিল। ডেমরা এলাকার কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিন বিআইউব্লিউটিএ থেকে তারাব ব্রিজ হতে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীর উভয় তীরে মালামাল লোড-আনলোডের শুল্ক আদায়ের ইজারা নিয়েছেন। নীতিমালা অনুযায়ী বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক নির্মিত ঘাট বা পন্টুন ব্যবহার করে কোনো মালামাল লোড-আনলোডের জন্য ইজারাদারের নির্ধারিত হারে শুল্ক আদায় করার কথা। নদীতে চলাচলরত নৌযান থেকে শুল্ক বা চাঁদা আদায় সম্পূর্ণ বেআইনি। কিন্তু সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্রটি ইজারার নামে নদীতে চলাচলরত নৌযান থেকে দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল। এসব নৌযানের অধিকাংশ গন্তব্য থাকে নরসিংদী, গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলা। ওই নৌযানগুলো ইজাদারের আওতাধীন এলাকা দিয়ে চলাচল করলেও তারাব ব্রিজ থেকে কাঞ্চন ব্রিজ এলাকার মাঝামাঝি কোথাও থামে না। তারপরও চাঁদাবাজ চক্র তাদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নৌযান শ্রমিকদের মারধরও করে তারা। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।