আমার বাড়ি আমার খামার

প্রকল্প বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ অদক্ষ জনবল ও দুর্বল মনিটরিং

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প বাস্তবায়নে চার ধরনের চ্যালেঞ্জ দেখছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে প্রথমেই আছে অদক্ষ জনবল। প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পে কর্মরত জনবলের অধিকাংশেরই আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার মতো প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে। পাশাপাশি মনিটরিং দুর্বলতার কথাও বলা হচ্ছে।

চলতি বছরের ২৫ জুলাই পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতিবিষয়ক একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পে যেসব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তার বেশির ভাগ অনুষঙ্গই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। কেবল গ্রাম সংগঠন সৃষ্টির যে লক্ষ্যমাত্রা সেটি কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতির চেয়েও বেশি অর্জন করেছে।

অগ্রগতি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সঞ্চয় আদায় লক্ষ্যমাত্রার ৬৯ শতাংশ, গ্রাম সংগঠনের সদস্যভুক্তি ৮৪, কল্যাণ অনুদান প্রদান ৫৯, গ্রাম সংগঠনের ঘূর্ণায়মান তহবিল অনুদান প্রদান ৮৬, স্থায়ী তহবিল গঠন ৭৫, প্রতি সংগঠন থেকে পাঁচজন সদস্যকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান ৭৩, সদস্যদের মধ্যে ৮ শতাংশ সেবামূল্যে ঋণ বিতরণ ৬৪ ও ঋণের কিস্তি আদায় ৪৬ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। এছাড়া ঋণগ্রহীতা প্রতি সদস্যের বাড়িতে উৎপাদনমুখী কৃষিজ খামার স্থাপনের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে ৪৬ শতংশ। তবে ১ লাখ ১ হাজার ৪২টি গ্রাম সংগঠন সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সৃষ্টি হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৫৬৭টি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি ইউনিয়নে সদস্যদের বহুমুখী শিক্ষণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে ৪ হাজার ৫৫০টি পল্লী পাঠশালা স্থাপনের লক্ষ্য থাকলেও এ খাতে বরাদ্দ অপ্রতুল, এ কারণে এটির বাস্তবায়ন শুরু করা হয়নি। প্রকল্পের কাজকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্য পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হলেও আলাদা জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বণিক বার্তাকে বলেন, প্রকল্পের কাজ চলছে, অগ্রগতি আরো বাড়ানো হবে। এ প্রকল্পের আওতায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক স্থাপিত হয়েছে। এ কারণে প্রকল্পের অগ্রগতি কিছুটা শ্লথ হয়েছে। প্রকল্পের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব ধারণাপ্রসূত এ প্রকল্প দারিদ্র্য বিমোচনে রোল মডেল হিসেবে বিশেষায়িত করা হচ্ছে। প্রকল্পটি নেয়া হয়েছিল ২০০৯ সালে, এটির মেয়াদ ২০২০ সাল পর্যন্ত। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটিতে মোট বরাদ্দ ৮ হাজার ১০ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন