জাতীয় নাগরিক কমিটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতে প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করবে

ছবি : বণিক বার্তা

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী লেখাপড়া করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল তিনি। ছিলেন ছাত্র ফেডারেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কারসহ বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ সংগঠকের ভূমিকায়। এছাড়া সীমান্তে হত্যা বন্ধে ২০২০ সালে রাজু ভাস্কর্যে টানা ৫৪ দিন অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন পুনরায় চালুতে ডাকসু মুভমেন্টে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি সমাজসেবা সম্পাদক হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। নাগরিক কমিটির গঠন, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, সাম্প্রতিক কর্মতৎপরতাসহ নানা বিষয়ে সম্প্রতি কথা বলেন বণিক বার্তায়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাবিদিন ইব্রাহিম

গত ৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন হলো। এর কাজ ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কী? বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে এর পার্থক্য কোথায়?

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয় এবং শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া হয়েছিল। এ ব্যানারে জনতার বড় একটি অংশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। নাগরিকদের কোনো ব্যানার কিংবা সংঘবদ্ধ কোনো শক্তি ছিল না। সবাই যার যার জায়গা থেকে অংশ নেয়। আর এ নাগরিকদের একটি বড় জনগোষ্ঠীই তরুণ। তাদেরকে সংঘবদ্ধ করতেই জাতীয় নাগরিক কমিটি কাজ করবে। আর ছাত্ররা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে তাদের কাজ করবে। মোটা দাগে বলা যায়, ছাত্রদের নেতৃত্বে যে গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, তাতে যেসব সাধারণ নাগরিক অংশ নেয় তাদের ঐক্যবদ্ধ করতেই জাতীয় নাগরিক কমিটি। 

রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলা হচ্ছে, তা কোন দিকে এগোচ্ছে বা কীভাবে করবেন?

রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ‘রুলস অব গেম’। আমরা কোথাও খেলতে গেলে কিছু নিয়মকানুন ঠিক করে নিই। তা না করলে খেলাটা এলোমেলো হয়ে যায়। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হয়েছিল। কিন্তু এর ভালো কোনো ফল দেখা যায়নি। আর একাত্তরে জন-আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেখানে বাহাত্তরে গিয়ে দেশের জনগণের ওপর একদলীয় শাসন ব্যবস্থার কর্তৃত্ব বিরাজমান হয়েছিল। বাহাত্তরের সংবিধান জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল, সেটি মানবাধিকার রক্ষা করতে পারেনি। গত ১৫ বছরে হাজার হাজার মানুষকে গুম করা হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে। গণমাধ্যমে আমরা তাদের পরিবার-স্বজনদের আর্তনাদ শুনতে পেয়েছি। সে জায়গা থেকেও আমাদের এ সংবিধান যেহেতু কোনো নিরাপত্তা দিতে পারেনি, সেহেতু আমরা মনে করি, নতুন একটি সংবিধান লিপিবদ্ধ করে ‘রুলস অব গেম’ নির্ধারণ করে নতুনভাবে রাজনৈতিক রূপান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে। সে জায়গায় আমরা বলছি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। 

বিগত সরকার নারী-শিশুসহ গণহত্যার সঙ্গে জড়িত। এর বিচার আপনারা কীভাবে করবেন?   

এক্ষেত্রে আমরা বরাবরই একটি বিষয় বলে থাকি, সেটি হলো রিডেম্পশন (দায়মোচন) ও রিকনসিলিয়েশন (আপস)। এ প্রক্রিয়া কীভাবে হবে? তারা দেশের মানুষের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে ও অত্যাচার করেছে সে বিষয়টি বাংলাদেশে যে বিচার ব্যবস্থা রয়েছে সেই বিচারিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে। বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের ওপর বিচারিক-প্রায়োগিক প্রক্রিয়া ন্যস্ত হবে এবং তাদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। গণহত্যা ও অত্যাচারে যারা সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল না তাদের সমাজে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসতে হবে।

বিচার বিভাগে এখনো পুরনো কাঠামো বিদ্যমান। গত ১৫ বছরে এ বিচার বিভাগ দিয়েই জনবিরোধী অনেক রায় হয়েছে। এ বিচার বিভাগসহ তিন বিভাগকে সংস্কার বা শক্তিশালী করতে নাগরিক কমিটি কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?

দেশে যে বিচার প্রক্রিয়া ও বিচার বিভাগ রয়েছে সেটি এখনো স্বাধীন নয়। বিচার বিভাগকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। আমরা মনে করি না যে জনগণের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে বর্তমানে কোনো বিচার বিভাগ ক্রিয়াশীল রয়েছে। এ অবস্থায় বিচার বিভাগকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। বিচার বিভাগের যে প্রায়োগিক ক্ষমতা রয়েছে সেগুলোকে আরো ক্ষমতায়ন করতে হবে। বিচার বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন তাদেরকে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির প্রভাবমুক্ত হয়ে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এরপর এসব বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় জনগণের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে যে গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল সেটি সঠিক পথে না গিয়ে তা উল্টো পথে যাবে। নাগরিক কমিটি কখনই তা উল্টো পথে যেতে দেবে না এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নাগরিক কমিটি শক্ত হাতে প্রতিরোধ করবে। 

জাতীয় নাগরিক কমিটি কোনো রাজনৈতিক দল না হলেও এর চরিত্র রাজনৈতিক। প্রধান দলগুলোর সঙ্গে আপনাদের কোনো দ্বন্দ্ব আছে কি? দ্বন্দ্ব থাকলে তা কীভাবে মোকাবেলা করছেন? 

দেশে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি রয়েছে জনগণ এরই মধ্যে তা বর্জন করেছে। পুরনো রাজনৈতিক ব্যবস্থায় মানুষের নৈতিক সমর্থন নেই। হয়তো তাদের জোচ্চুরির কাছে অনেক মানুষ এখনো অসহায়। সেই মানুষগুলোর মুক্তির জন্য জাতীয় নাগরিক কমিটি কাজ করছে। বাংলাদেশে সংঘবদ্ধ একটি বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদের অনেক ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক বোঝাপড়ার জায়গায় পিছিয়ে রাখা হয়েছে। বর্তমানে রাজনৈতিক যে সংস্কৃতি রয়েছে তার সঙ্গে মানুষ মনস্তাত্ত্বিকভাবে খাপ খাইয়ে নিতে পারছে না। আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে হাজির হবে, সেই জায়গায় বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো বরাবরই ব্যর্থ হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের এ উদ্যোগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী তৈরির মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক শূন্যতা রয়েছে তা পূরণ করব। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় নাগরিক কমিটির কোনো দ্বন্দ্বের ক্ষেত্র তৈরি হবে বলে মনে করি না। কারণ মানুষই তাদের সেই জায়গায় নিয়ে আসবে যাতে তারা এ বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ট হয়। তারা যদি কাজগুলো না করতে পারে তাহলে সেসব রাজনৈতিক দল ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে হারিয়ে যাবে। 

সামনে নির্বাচন হলে নাগরিক কমিটি দল হিসেবে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করবে কি? 

জাতীয় নাগরিক কমিটি রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে কাজ করছে। সেখানে রাজনৈতিক দল বা নির্বাচন একটি অংশ। যারা শহীদ বা আহত হয়েছেন তাদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ছিল, সেই গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা রাজনৈতিক দলগুলো গত ৫৩ বছরে পূরণ করতে পারেনি। জাতীয় নাগরিক কমিটির কাজ হবে সেই সুযোগ তৈরি করে দেয়া যাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাদের যে আশা-ভরসার জায়গাটি বাংলাদেশে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। 

গত দুই মাসে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে এ সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে?

বর্তমান যে সরকার গঠিত হয়েছে তা জনগণের সরকার। জনগণের সরকার যখন জনগণ নিয়ে কাজ শুরু করেছে, তখন কিছু ব্যক্তির হলেও বিচ্যুতি হয়েছে বা তাদেরকে জনতা অফিস থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু যে সিস্টেম রয়েছে তা বদলানো যায়নি। এখনো বিভিন্ন স্থানে প্রতি বিপ্লবের আশঙ্কা রয়েছে। সর্বাধিক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করলেও সে পরিস্থিতির পুনরুদ্ধার এখনো হয়নি। কেন হয়নি? কারণ বাংলাদেশের যে সাংবিধানিক কাঠামো রয়েছে সেখানে পুলিশকে লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাবিত করা হয়েছে। এছাড়া অন্য বাহিনীকেও প্রভাবিত করা হয়েছে। এ অবস্থায় জনগণের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। আমরাও জনগণকে আহ্বান জানাই, বিশ্বাসের ভিত্তিতে সরকার যেসব কাজ করছে সেগুলোর ওপর আস্থা রাখুন এবং সমর্থন ও সহযোগিতা করুন। আবার এর মানে এই না যে সরকারকে জবাবদিহিতার জায়গায় ছাড় দেয়া হবে। 

পুলিশ ও প্রশাসনিক সংস্কারে আপনাদের প্রস্তাব কী? 

পুলিশ বাহিনীকে সংস্কারের জন্য সবার মতামতের ভিত্তিতে একটি সংস্কার কমিশন গঠন করা হোক। এ বাহিনীকে যে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে সেখানে রাষ্ট্রীয় অংশীজন থাকা প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে র‍্যাবকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সংস্থা। অস্ত্রশস্ত্রসহ পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সহায়তাও করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পরে দেখা গেল, বাংলাদেশের মানুষের বিপক্ষে ব্যবহার করা হলো র‍্যাবকে। এজন্য সংস্কার কমিশনের ক্ষেত্রে বা বাহিনী পুনর্গঠনে বিভিন্ন দেশের যে উদাহরণ পাওয়া যায় তা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। কিন্তু প্রশিক্ষণ বিভিন্ন অংশীজনের ভিত্তিতে ও জনবান্ধব হওয়া প্রয়োজন। যাতে বাহিনীগুলোর সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ থাকে। জনগণ যখন তাদের অধিকার বা দাবি-দাওয়া আদায়ে আন্দোলন করবে তখন তাদের যেন মানুষের ওপর গুলি চালাতে ব্যবহার না করা হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে। 

প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে আগেও টেনশন ছিল। ৫ আগস্টের পর সে টেনশন আরো তীব্র হয়েছে। সার্বিকভাবে ‘ভারত’ প্রশ্নকে আপনারা কীভাবে দেখছেন? 

জাতীয় নাগরিক কমিটি ভারতবর্ষকে বেশ সাধারণভাবে দেখে। ভারতবর্ষে যারা বাঙালি আছি, আমরা আমাদের হিস্যা বুঝে নিতে চাই ও আমাদের আইডেন্টিটি স্পষ্ট রাখতে চাই। প্রতিবেশী হিসেবে প্রতিবেশীর যে হক বা মর্যাদা রয়েছে সেটি ভারত দেয়নি। রাষ্ট্র পর্যায় থেকে তারা একটি বাহিনী ও দলের মাধ্যমে জনগণের ওপর চরমভাবে নিপীড়ন চালিয়েছে। সে জায়গা থেকে ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের যথেষ্ট যোগাযোগ আছে। কিন্তু রাষ্ট্র পর্যায়ে তা দেখা যাচ্ছে না। ভারতের জনগণকে বলব, তারা যেন তাদের জায়গা থেকে এ বিষয়ে আওয়াজ তোলে। আমরাও আওয়াজ তুলছি। বাংলাদেশ তাদের জায়গা থেকে ন্যায্য ও মানবাধিকারের যেসব জায়গা আছে সেগুলো নিয়ে কাজ করবে। এর মাধ্যমে মানবাধিকারের ভিত্তিতে নতুন এক সমাজ বিনির্মাণ করা হবে। সে জায়গা থেকে ভারতকে আমরা সহজ ও সুলভ মর্যাদাকর একটি নীতিতে আসার আহ্বান জানাই।

আমরা মনে করি, দুই দেশের জনগণ যদি পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে তাহলে উত্তরণের পথ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য অসমতাসহ সীমান্ত হত্যার মতো ইস্যু আছে। এছাড়া নদীগুলো নিয়ে দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে। সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে ও বন্ধের দাবিতে আমি ব্যক্তিগতভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ৫৪ দিন অবস্থান করেছিলাম। সে সময় আমাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। মানুষ যাতে কথা বলতে না পারে সেজন্য মানুষের মুখ চেপে ধরা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তারা মানুষের ওপর দীর্ঘদিন অত্যাচার চালিয়েছে। এ জায়গা থেকে যদি ভারত বের না হয় তাহলে তারা কখনই বাংলাদেশের জনগণের সহযোগিতা পাবে না। 

জাতীয় নাগরিক কমিটির স্বল্পমেয়াদি (১০০ দিন) এবং দীর্ঘমেয়াদি (এক বছর) লক্ষ্যমাত্রা কী? 

জাতীয় নাগরিক কমিটির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া তরুণদের রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে তৈরি করা। এর মধ্য দিয়ে পাঁচ শতাধিক সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্ব তৈরি করা। কারণ গত ৫৩ বছরে আমাদের নেতৃত্বে বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তবে যেসব নেতৃত্ব তৈরি হয়েছে সেগুলো মাস্তানি, গুণ্ডামি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডনির্ভর। এ কারণে যেসব ভালো মানুষ নেতৃত্বে আসতে চেয়েছিলেন তারা হারিয়ে গেছেন। ফলে জনমনে রাজনীতির প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়েছে। রাজনীতির প্রতি যে বিদ্বেষ, হীনম্মন্যতা, অসহযোগিতা সৃষ্টি হয়েছিল সেখানে আস্থা ফিরিয়ে এনে তরুণদের নিয়ে বড় একটি রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী বাংলাদেশকে উপহার দিতে চাই। এ জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে বাংলাদেশ আগামীর বিশ্বদরবারে নতুন করে হাজির হবে। 

শ্রুতলিখন: মারিফুল হাসান

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন