স্পট মার্কেটে লিন্ডে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

বহুজাতিক কোম্পানি লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ার আজ ও আগামীকাল কেবল স্পট মার্কেটে লেনদেন হবে। এ সময় কোম্পানিটির ব্লক মার্কেটের লেনদেনও স্পট সেটলমেন্টের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে। অন্তর্বর্তী লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের কারণে কোম্পানিটির লেনদেন আগামী বুধবার বন্ধ থাকবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য রেকর্ড ৪ হাজার ১০০ শতাংশ নগদ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের জানুয়ারি-জুলাই নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪১৫ টাকা ৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ টাকা ৮৪ পয়সা। 

গত ৩১ জুলাই শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৩২ টাকা ৩৫ পয়সায়, যা ৩১ ডিসেম্বর শেষে ছিল ৩৭১ টাকা ২৭ পয়সা।

সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো চূড়ান্ত লভ্যাংশ সুপারিশ করেনি। এর আগে ঘোষিত ১ হাজার ৫৪০ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশই কোম্পানিটির চূড়ান্ত লভ্যাংশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ৩১ অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত নিরীক্ষিত অন্তর্বর্তীকালীন আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করে এ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল কোম্পানিটি। ২০২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৫ টাকা ২ পয়সা, আগের বছরে যা ছিল ৫৮ টাকা ৪ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৩৭১ টাকা ২৭ পয়সায়। ২০২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৪২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করে লিন্ডে বাংলাদেশের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৮ টাকা ৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৮০ টাকা ৫৫ পয়সা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে প্রায় ২৮ শতাংশ।

২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৫৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে লিন্ডে বাংলাদেশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮০ টাকা ৫৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭০ টাকা ৫৫ পয়সা। সে হিসাবে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ১০ টাকা বা ১৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৩৯৫ টাকা ৫৫ পয়সায়।

২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৪০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল লিন্ডে বাংলাদেশ। আগের হিসাব বছরে ৫০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে ৩৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারহোল্ডাররা। ২০১৭ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৪০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই হিসাব বছর শেয়ারহোল্ডারদের ২০০ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশও দিয়েছিল তারা। এছাড়া ২০১৬ ও ২০১৫ হিসাব বছরে ৩১০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন