ম্যারিকো বাংলাদেশের ঋণমান ট্রিপল এ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

বহুজাতিক কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশের সার্ভিলেন্স রেটিং দীর্ঘমেয়াদে ‘‌ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘‌এসটি-ওয়ান’। ৩১ মার্চ সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২০২৪-২৫ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য পরিমাণগত ও গুণগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)। 

৩১ মার্চ সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। ঘোষিত এ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে কোম্পানিটি। চলতি ২০২৪-২৫ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ম্যারিকো বাংলাদেশের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৪ টাকা ৭৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ৪২ টাকা ১৮ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১৫ টাকা ৪২ পয়সায়।

সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে ম্যারিকো কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৪৬ টাকা ২৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের যা ছিল ১২২ টাকা ৯৩ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৬০ টাকা ৬৪ পয়সায়।

কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০০০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানিটির পর্ষদ। 

ম্যারিকো বাংলাদেশ দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০০৯ সালে। তালিকাভুক্তির পর ২০০৯ হিসাব বছরে কোম্পানিটি ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এরপর ২০১০ হিসাব বছরে ২০ শতাংশ, ২০১১ হিসাব বছরে ২৫, ২০১২ হিসাব বছরে ১০০ ও ২০১৩ হিসাব বছরে ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ২০১৪ হিসাব বছরে ম্যারিকো বাংলাদেশ ৯০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এরপর প্রতি বছরই উচ্চ হারে লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। এর মধ্যে ২০১৫ হিসাব বছরে ৪২৫ শতাংশ, ২০১৬ হিসাব বছরে ৪৫০, ২০১৭ হিসাব বছরে ৫০০, ২০১৮ হিসাব বছরে ৬০০, ২০১৯ হিসাব বছরে ৬৫০, ২০২০ হিসাব বছরে ৯৫০, ২০২১ হিসাব বছরে ৯০০, ২০২২ হিসাব বছরে ৮০০ ও ২০২৩ হিসাব বছরে ৭৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানিটি। 

মুম্বাইভিত্তিক এফএমসিজি কোম্পানি ম্যারিকো ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে। ৪০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৭৬২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৯০ শতাংশই রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬ দশমিক ৭৭, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ দশমিক ১৪ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ২ দশমিক ০৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন