অজানা বিষয় শেয়ার করলেন ইলিয়াস কাঞ্চন

ফিচার প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর ভক্তদের সঙ্গে নিজের দীর্ঘদিনের কিছু ব্যক্তিগত বিষয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করলেন তিনি। ফেসবুক লাইভে এসে কাঞ্চন বলেন, ‘আমি আমার জীবনের কিছু মজার ঘটনা ও দুর্বলতা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব, যার মধ্যে অন্যতম একটি আমার আঙুল। ছোটবেলায় আমার আঙুল দুটো পুড়ে গিয়েছিল। শুধু পুড়ে যাওয়ায় আমার আঙুল দুটোর এত ক্ষতি হয়নি। এর পেছনে রয়েছে আরেকটি কারণ।’

কাঞ্চন বলেন, ‘আমার বাবারা সাত ভাই ছিলেন। আমার বাবা ছিলেন চার নম্বর। আমি তখন হামাগুড়ি দিয়ে চলি। তখন বাবার পাঁচ নম্বর ভাই বিয়ে করেন। আমার মা-বাবাদের কাছে শুনি, সে সময় গরম চুলায় আমি হাত দিয়ে দুটি আঙুল পুড়িয়ে ফেলেছিলাম। তখন ঘরে এসেছে বাবার ভাইয়ের নতুন বউ। তিনি বড় ঘোমটা পরে বাড়িতে হাঁটতেন। একদিন আমি পোড়া আঙুল দিয়ে হামাগুড়ি দিচ্ছিলাম আর উনিও বড় ঘোমটা দিয়ে হাঁটছিলেন। ওই সময় তার পা আমার পোড়া আঙুলের ওপর পড়ল। এতে আমার আঙুল দুটো আরো থেঁতলে গেল। বড়রা বলেছিল, ওই সময় চাচির পায়ের চাপা খাওয়ায় আমার পোড়া নরম আঙুল পায়ের সঙ্গে কিছুক্ষণ লেগেছিল। এরপর থেকেই এ খুঁত সঙ্গে নিয়েই আমি বড় হয়েছি।’

অভিনেতা হিসেবে সিনেমার ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘অল্প বয়সে যখন নায়ক ছিলাম, তখন অনেক সতর্ক হয়ে কাজ করেছি। যেন পর্দায় আমার এ দুর্বলতা কখনো দেখা না যায়। তবে এখন আমি সে গোপন কথাটা বলছি। কারণ এখন তো আর আমি নায়ক নই।’

এরপর একটু হেসেই ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘‌শুনেছি বলিউডের জনপ্রিয় হৃতিক রোশনেরও আঙুলের সমস্যা রয়েছে। তার এক হাতে পাঁচ আঙুলের জায়গায় ছয় আঙুল। তিনিও পর্দায় এ সমস্যা ভক্তদের কাছে আড়াল করেন সতর্কভাবেই। কারণ ভক্তরা নায়কদের পারফেক্ট দেখতেই অভ্যস্ত। নায়কের দুর্বলতা তাদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে এতদিন পরে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজের এ দুর্বলতা আমি শেয়ার করলাম। এখন না বললে হয়তো কখনই আর এ মজার ঘটনা কিংবা নিজের দুর্বলতা বলা হবে না।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন