খাদ্যপণ্যেও নিজেদের গুণগত মান ধরে রেখেছে আবুল খায়ের গ্রুপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

স্টারশিপ কনডেন্সড মিল্ক

বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের গ্রুপ। ১৯৫৩ সালে তামাক বিপণন কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটির বাণিজ্যিক সদর দপ্তর চট্টগ্রামে অবস্থিত। আবুল খায়ের গ্রুপের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ গ্রুপে হাতেখড়ি স্টার শিপ কনডেন্স মিল্কের মাধ্যমে। ১৯৯৪ সালে স্টারশিপ কনডেন্সড মিল্ক প্রথমে বাজারে আসে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি দাপটের সঙ্গে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। 

মার্কস ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার

১৯৯৭ সালে মার্কস ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার বাজারে আনা হয়। বাজারের আসার পর পর এটি জনপ্রিয়তা পায়। বর্তমানেও দেশের বেশির ভাগ মানুষের পছন্দের জায়গা এটি। ব্র্যান্ডটি নিজেদের গুণগত মান ধরে রেখেছে। এছাড়া সামাজিকভাবেও তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। ‘মার্কস অলরাউন্ডার’ নামের একটি অনুষ্ঠানও পরিচালনা করেছে, যা স্কুলগামী শিশুদের প্রতিভা অন্বেষণের অন্যতম একটি প্লাটফর্ম। মার্কস ছাড়াও স্টার শিপ ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার এবং এএমএ ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার উল্লেখযোগ্য বাজারহিস্যাসহ অন্যান্য দুটি মিল্ক পাউডার ব্র্যান্ডগুলোও দীর্ঘদিন ধরে বাজারজাত করা হয়েছে।

সিলন চা

সিলন চা বাজারে ২০০৪ সালে প্রবর্তিত হয়েছিল। এক দশকের মধ্যে এটি সফলভাবে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় চা ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে। এ ব্র্যান্ড সবসময় অগ্রাধিকার হিসেবে উদ্ভাবনের ওপর ফোকাস করে। ব্র্যান্ডটি বাংলাদেশে পিরামিড আকৃতির টিব্যাগ প্রবর্তনের পথপ্রদর্শক। এছাড়া সিলনই প্রথম ব্র্যান্ড, যারা বাংলাদেশে ডাবল চেম্বার স্ট্যাপললেস টিব্যাগ চালু করেছে। সম্প্রতি সিলন ফ্যামিলি ব্র্যান্ড নামে একটি ফ্যামিলি প্যাক চালু করেছে।

এছাড়া আবুল খায়ের গ্রুপের অন্যান্য খাদ্যপণ্যের মধ্যে রয়েছে স্বাদ চানাচুর, কডিস ক্যান্ডি ও পানীয়র মধ্যে রয়েছে স্টারশিপ ম্যাংগো ড্রিংকস। এর মধ্যে স্টারশিপ ম্যাংগো ড্রিংকস ১৯৯৮ সালে বাজারে আনা হয়। পরে ধীরে ধীরে স্টারশিপ ফ্লেভার্ড মিল্ক চকোলেট, স্টারশিপ ম্যাংগো মিল্ক ড্রিংক, স্টারশিপ লিচু ড্রিংক ফ্লেভার্ড পর্যন্ত প্রসারিত করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য পানীয়র মধ্যে রয়েছে স্বাদ লিচু ড্রিংকস, স্বাদ অরেঞ্জ ড্রিংকস, মার্কস অ্যাক্টিভ স্কুল-বেনজিয়ার চকোলেট মিল্ক শেক, কুকিজ এবং ক্রিম মিল্ক শেক, স্ট্রবেরি আইসিক্রম মিল্ক শেক। এরপর ২০০৬ সালে স্বাদ চানাচুর বাজারে আনা হয়। এ বিভাগের অধীনে ব্র্যান্ডটি পরে কুড়মুড়ে চানাচুর নামে পুনরায় চালু করা হয় এবং পণ্যের লাইন কুড়মুড়ে ডাল, কুড়মুড়ে সবুজ মটর এবং কুড়মুড়ে চুই ঝালমুরি পর্যন্ত প্রসারিত করা হয়। আবুল খায়ের গ্রুপের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ আইটেমের সর্বশেষ সংযোজন হলো কিডস ক্যান্ডি। তা বাজারে আনা হয় ২০১২ সালে। বর্তমানে মাসালা ম্যাংগো, কফিবাইট এবং কিডস ক্যান্ডি নয়টি ভিন্ন ভিন্ন ভেরিয়েন্টের উৎপাদন ও বাজারজাত করা হয়।

আবুল খায়ের গ্রুপের খাদ্যপণ্য শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও রফতানি হচ্ছে। ভারত, পাকিস্তান ও নেপালসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয়ও বিপুল চাহিদা পূরণ করে আসছে। আইএসও, এইচএসিসিপি ও বিএসটিআইয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেটসহ কোম্পানিটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন