পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স

এক মাসের ব্যবধানে অর্থনীতির গতি কমেছে ৬ দশমিক ২ পয়েন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

এক মাসের ব্যবধানে দেশের অর্থনীতির গতি দশমিক পয়েন্ট কমেছে। চলতি বছরের মে মাসে পিএমআই (পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স) সূচকে দেশের অর্থনীতির মান ছিল ৭০ দশমিক ১। জুনে সেই মান ৬৩ দশমিক - নেমে এসেছে। গতকাল প্রকাশিত সর্বশেষ পিএমআই সূচক থেকে দেশের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে জানা গেছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চারটি খাতকৃষি, উৎপাদন, নির্মাণ সেবা খাতের গতিবিধির ওপর ভিত্তি করে প্রতি মাসে যৌথভাবে সূচক তৈরি করে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ।

জুনের পিএমআই দেশের অর্থনীতিতে ধীরগতির তথ্য দেয়। এর আগে গত এপ্রিলেও দেশের অর্থনীতির প্রধান চারটি খাতের গতি কমেছিল। মে মাসে সেই ধারা বেড়ে ৭০ দশমিক - পৌঁছায় পিএমআই। তবে এক মাস পর জুনে অর্থনীতির গতি আবারো সংকোচনের দিকে গেছে।

পিএমআই সূচকে দেখা যায়, জুনে কৃষি খাতের পিএমআই ছিল ৭০ দশমিক , যা মে মাসে ছিল ৭৯ দশমিক ৩। সবচেয়ে বেশি মান কমেছে উৎপাদন খাতের। মে মাসের উৎপাদন সূচক ছিল ৭৬ দশমিক , যা জুনে ১৪ দশমিক পয়েন্ট কমে ৬১ দশমিক - নেমে এসেছে।

বাকি দুটি খাতের সূচকও নিম্নমুখী। মে মাসের নির্মাণ খাতের সূচক যেখানে ৭৪ দশমিক পয়েন্ট ছিল, জুনে তা কমে দাঁড়ায় ৬৫ দশমিক ১। আর সেবা খাতের মান ৬৪ দশমিক থেকে নেমে এসেছে ৬৩ দশমিক -এ।

সব মিলিয়ে জুনে দেশের অর্থনীতি মন্থর হওয়ারই তথ্য দেয় পিএমআই। তবে পিএমআই মান ৫০-এর ওপরে হলে অর্থনীতি সম্প্রসারণ এবং ৫০-এর নিচে হলে অর্থনীতি সংকোচন হচ্ছে বলে ধরে নেয়া হয়। শূন্য থেকে ১০০-এর মধ্যে পিএমআই মান পরিমাপ করা হয়।

বিশ্বে পিএমআই ধারণাটি পুরনো হলেও বাংলাদেশে নতুন। এমসিসিআই পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ গত বছরের ডিসেম্বর থেকে যৌথভাবে পিএমআই মান নির্ণয় করে আসছে। তবে সর্বপ্রথম মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম পিএমআই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

জুনের প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতি ধীরগতি হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের ক্রমাগত জটে পণ্য পরিবহন ব্যয় সময় উভয়ই ঊর্ধ্বমুখী ছিল। একই সঙ্গে ঈদুল আজহার ছুটির পাশাপাশি নেতিবাচক আবহাওয়াও অর্থনীতির মন্থর গতিতে ভূমিকা রেখেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন