কোটা আন্দোলন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে —ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

কোটা আন্দোলন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কোটা আন্দোলন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সময়মতো সমাধান হয়ে যাবে। আই হোপ সো অ্যান্ড আই বিলিভ সো।’

গতকাল সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যে ইস্যুতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত নয়। আদালত রায় দিয়েছেন। এখন আদালতের ব্যাপারটি যখন চলমান, সেখানে যেটি আপিল বিভাগে আছে, এ বিষয় নিয়ে তো কথা বলা উচিত নয়। তবে এটি দেশের ব্যাপার, তাই আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’

শিক্ষকদের সঙ্গে দ্রুত বসবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বসাবসিটা তো বিষয় না, তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। বসাবসিটা কখন হবে সেটা বলতে পারছি না। তবে সময়মতো সমাধান হয়ে যাবে।’

ওবায়দুল কাদের জানান, দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ মাথায় রেখে সব প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিতে হবে। কোনো অবস্থায় শ্রীলংকার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি কিংবা ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ভালো কাজের যেমন পুরস্কার, সেভাবে খারাপ কাজের জন্য নিন্দা শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার। দুর্নীতি, কমিশন, পারসেন্টেজ, প্রমোশন, ট্রান্সফার এসব নিয়ে আগে অনেক কথা ছিল। এ প্র্যাকটিস বন্ধ করা হয়েছে, বিশেষ করে বিআরটিএ ও সড়ক বিভাগে।’

সরকার নাকি মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি করছে, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাস্তবে সরকার মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি নয়, মেগা সাশ্রয় করছে। তিন সেতু মেঘনা, গোমতী ও কাঁচপুর সেতুতে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। আর পদ্মা সেতুতে সাশ্রয় হয়েছে ১ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা।’

অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিন মাস পর পরই প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়কে এ ঋণ ফেরত দিচ্ছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমরা ঋণ নিয়েছি, সেটা অর্থ মন্ত্রণালয়কে আমরা আবার দিয়ে দিচ্ছি। যেভাবে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হচ্ছে, এতে আমি তো মনে করি, ২৫ বছর লাগবে না, ১৮-২০ বছরের মধ্যে আমরা ঋণ ফেরত দিতে পারব।’ 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন