ছবি : বণিক বার্তা ভারত থেকে নেমে আসা উজানি ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে আবারো বাড়ছে সিলেটের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। পানি বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকায় সিলেট অঞ্চলে নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা, কুশিয়ারা নদ নদীর পানি গড়ে ৩ থেকে ৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়েছে। কুশিয়ারা আগ থেকেই বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সুরমা কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, ২ জুন থেকে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। সোমবার সকাল ৯টায় নদীর ওই পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৮১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি কমেছে মাত্র ১ সেন্টিমিটার। নদীর ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার।
পাউবো সূত্রে আরো জানা গেছে, গতকাল রোববার রাতে সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি ১০ দশমিক ১৪ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকাল ৬ টায় নদীর ওই পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ১০ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার দিয়ে। এ পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।
এদিকে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকা গোয়াইনঘাটের জাফলং, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর এলাকা দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীগুলোর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে। গড়ে ৩/৪ সেন্টিমিটার করে বেড়েছে।
পাউবো সিলেটের কর্মকর্তারা বলছেন, সিলেটের সীমান্ত এলাকায় প্রবাহিত নদ-নদীগুলোর পানির বাড়া-কমার বিষয়টি ভারতে বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে। সিলেটে কম বৃষ্টি হলেও ভারতের বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি ঢল নিম্নাঞ্চলে প্রবাহিত হয়।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, দুইটি নদীর পানি এসে কুশিয়ারা নদীতে গিয়ে মেলে। এতে অন্য নদ-নদীর পানি কমলেও কুশিয়ারার পানি বাড়ে। একই কারণে পানি ধীরগতিতে নামে। এ ছাড়া নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় পানি ধীরগতিতে নামছে। তবে বৃষ্টি হলে ও পাহাড়ি ঢল নামলে পানির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৩৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার। আর সোমবার সকাল ৬ টা থেকে ৯ টার মধ্যে হয়েছে ৬৫ মিলিমিটার। আরো ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
