‘তুফান’ বাংলা সিনেমায় অনেক নতুন রেকর্ড যোগ করেছে

ছবি: রায়হান রাফীর ফেসবুক

সময়ের আলোচিত নির্মাতা রায়হান রাফী। ‘পোড়ামন ২’ দিয়ে সিনেমার পরিচালক হিসেবে পরিচিতি পান। এরপর একই বছর ‘দহন’ নামের আরেকটি সিনেমা দিয়ে দর্শকের কাছে পৌঁছান এ নির্মাতা। একে একে দর্শকনন্দিত সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তার নির্মিত তুফান সিনেমার কারণে বাংলাদেশের সব শ্রেণীর দর্শকের বাহবা পাচ্ছেন তিনি। তার তুফান ও অন্যান্য কাজ নিয়ে কথা বলেছেন বণিক বার্তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অহিদ রহমান

তুফান মুক্তির সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে, ঠিক মুহূর্তে তুফানের কী খবর?

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যত বাংলা সিনেমা এসেছে এবং সে সিনেমাগুলো যত ব্যবসা করেছে তুফান ইতিহাসের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এমন দর্শক এর আগে আর কোনো সিনেমার ক্ষেত্রে হয়নি। হল মালিকদের মতে, প্রতিদিন ঈদের মতো দর্শক হচ্ছে। আমরা সাধারণত দেখি যে সিনেপ্লেক্সে আস্তে আস্তে শো বাড়ানো হয়। সব ব্লকবাষ্টার সিনেমারই শেষের দিকে গিয়ে ৩০টা শো হয়। কিন্তু তুফানের ক্ষেত্রে আমরা দেখি প্রথম দিনে ২১টা, পরের দিন ৩০টা, তার পরের দিন বিকাল থেকে ৪০টা। তার মানে একদিনের মধ্যে দর্শকের চাপ এমন অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে, একই দিনে ৫৭-৫৮টা শো দিতে বাধ্য হয়েছে। তো গেল ষ্টার সিনেপ্লেক্সের কথা। যমুনায়ও ১৪টা, লায়নেও একই অবস্থা।

তুফান বাংলা সিনেমার কী কী নতুন রেকর্ড যোগ করল?

বাংলা সিনেমার ইতিহাসে একই দিনে ৫৮টা শো প্রদর্শিত হয়নি এর আগে। মধুমিতার মতো বড় সিনেমা হল যেখানে হাজার ২০০ সিট, সেখানে উপর্যুপরি কয়েকটা শো চলা সত্ত্বেও মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। টিকিট পাচ্ছে না। দেশের কিছু সিনেমা হলে মিড নাইট শো চালু করেছে। দর্শকের চাপ এমন হয়েছে যে রাত ১২-৩টা পর্যন্ত শো চালু করতে বাধ্য হয়েছে হল মালিকরা। মনিহার সিনেমার মালিকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা আমাকে জানায়, নরমালি কোনো ব্লকবাষ্টার সিনেমায় তিন সপ্তাহে যা ব্যবসা দেয় তুফান সেটা এক সপ্তাহে দিয়েছে।

তুফান নিয়ে আপনার ভাবনা কত দিনের?

সুড়ঙ্গ পরই মূলত চিন্তা করেছিলাম এবার একটা অ্যাকশনধর্মী সিনেমা বানাব। বলতে গেলে সিনেমার পর প্ল্যান করা। তারপর এক বছর প্রি-প্রডাকশন, এরপর শুটিং। আমরা এত বড় সুপারস্টারকে নিয়ে সিনেমা বানাতে চিন্তিত ছিলাম, মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। আমার এটা সবসময় মাথায় ছিল যে আমি যেন মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি। আমি সবসময় ভাবতাম যেন মানুষের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কিছু দিতে পারি। আমরা আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী দিয়েছি এবং যা প্রত্যাশা করেছি, তার থেকে অনেক বেশি পেয়েছি। এটাই আমাদের সার্থকতা।

মিমি চক্রবর্তীর কাস্টিং কীভাবে করলেন?

আমরা এটা চিন্তা করেছিলাম যে একজন বাংলাদেশী একজন ইন্ডিয়ান অভিনয়শিল্পী নেব। ওই চিন্তা অনুযায়ী মিমি চক্রবর্তীকে নেয়া। ব্যাপারে মিমির সঙ্গে কথা বলাতে তিনিও শাকিবের সঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছেন, ব্যস হয়ে গেল।

শাকিব খানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা জানতে চাই।

শাকিব খানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত ভালো। তিনি এত বড় একজন স্টার হওয়া সত্ত্বেও প্রচণ্ড রোদে একটুও ক্লান্ত হননি। এমনকি বিশ্রামের কথাও বলেননি। প্রচণ্ড রোদ হওয়া সত্ত্বেও নিরলসভাবে শুটিং করে গেছেন।

তুফানের শুটিংয়ের বিশেষ কোনো ঘটনা বলার আছে কি?

বিশেষ ঘটনা বলতে প্রচণ্ড গরমে পুরো সিনেমাটি শুটিং করতে হয়েছে। ভ্যাপসা গরমে শুটিং স্পটে থাকা যাচ্ছিল না। প্রতিটা অভিনয়শিল্পীর কষ্ট করতে হয়েছে। একটা সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে প্রচণ্ড গরমের কারণে শুটিং বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তবু আমরা শুটিং চালিয়ে গেছি। গরম থাকলেও আমরা প্রত্যেকে শুটিং স্পটে কাজটা উপভোগ করেছি।

আরিফিন শুভকে নিয়েনূর নামে আপনার একটি সিনেমার কথা আমরা জেনেছিলাম, ওটার কী খবর?

হ্যাঁ, এটা আসবে। কবে আসবে আমি জানাব।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন