গাইবান্ধায় সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব‍্যাহত

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ঝাঞ্জাইর এলাকা থেকে তোলা ছবি। — বণিক বার্তা

কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উত্তরাঞ্চলের জেলা গাইবান্ধায় সব নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।

এতে গাইবান্ধা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব নদ-নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শুক্রবার (২১ জুন) সন্ধ্যা ৬ টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার, শহরের ঘাঘট নদীর পানি নিউব্রীজ পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার, করতোয়া নদীর পানি চকরহিমাপুর পয়েন্টে ৫৮ সেন্টিমিটার, তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ঘাগোয়া ও ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। নদীগুলোতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সদর উপজেলার মোল্লার চর ও ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়ন ও গজারিয়া ইউনিয়নের কিছু স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহমুদ আল হাসান বণিক বার্তাকে বলেন, সদরের নদী বেষ্টিত যে চারটি ইউনিয়ন রয়েছে সে সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ প্রত‍্যেক সদস্যদের বলে দেয়া হয়েছে স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখার জন্য। এছাড়াও ওই সব এলাকায় শুকনা খাবারসহ মেডিকেল টিমের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বণিক বার্তাকে বলেন, পানি আরো বৃদ্ধি পাবে। নদী ভাঙনসহ সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন