রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ি দুই সংগঠনের গোলাগুলি, পরিবহন শ্রমিক নিহত

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রাঙ্গামাটি

ছবি : বণিক বার্তা

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট এলাকায় আঞ্চলিক দলের সশস্ত্র কর্মীদের গুলিতে মো. নাঈম (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকাল ৩টার দিকে বাঘাইহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত মো. নাঈম শান্তি পরিবহন নামের বাসের হেলপারের (সহকারী) কাজ করতেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট এলাকায় বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গুলিতে আহত হওয়ার পর তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল পৌনে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দুলেই চাকমা ও চিক্কো চাকমা নামে দুজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে পুলিশের কাছে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য নেই।

পুলিশ জানিয়েছে, দুটি আঞ্চলিক দলের গোলাগুলিতে একজন বাস হেলপার আহত হয়। পরে দীঘিনালা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত ব্যক্তি মারা গেছেন। এদিকে এ ঘটনায় বিকালে এক বিবৃতিতে ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।

ইউপিডিএফ রাঙ্গামাটি ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা বিবৃতিতে জানান, মঙ্গলবার বাঘাইহাট বাজার থেকে ব্যবসায়ীরা মালামাল কিনে উজো বাজার ও মাচালং বাজারে নিতে চাইলে ঠ্যাঙাড়ে সদস্যরা তাতে বাধা দেয়। এতে উক্ত ব্যবসায়ী ও এলাকার পাহাড়ি—বাঙালি সাধারণ জনগণ বিক্ষুদ্ধ হয় এবং তার প্রতিবাদে পর্যটন সড়কে ও বাঘাইহাট বাজারে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। কিন্তু ঠ্যাঙাড়েরা এক পর্যায়ে বিনা উসকানিতে জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে শান্তি পরিবহনের এক হেলপার ঘটনাস্থলে নিহত এবং পাহাড়ি-বাঙালি বেশ কয়েকজন আহত হন।

রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট এলাকায় দুটি আঞ্চলিক দলের আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনায় একজন আহত হন। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য দীঘিনালায় নেয়া হলে সেখানেই মারা যান। মরদেহ সেখানে আছে। এ ঘটনায় আরো আহত আছে কিনা সে তথ্য এখনো আমাদের কাছে নেই।

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. তনয় তালুকদার জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে আনা হয়েছে। তবে হাসপাতালে আনার আগেই সে পথে মারা গিয়েছে। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন