২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভিআরএফ (ভেরিয়েবল
রেফ্রিজারেন্ট ফ্লো) ও ভিআরভি (ভেরিয়েবল রেফ্রিজারেন্ট ভলিউম) এসি ও কম্প্রেসার আমদানিতে
প্রস্তাবিত উচ্চ শুল্ক হার পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড
এয়ারকন্ডিশনিং মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (ব্রামা)।
বুধবার (১২ জুন) রাজধানীর একটি
হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, নতুন অর্থবছরের
জন্য ঘোষিত বাজেটে সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনিং (ভিআরএফ ও ভিআরভি) সিস্টেম শুল্কায়নের
জন্য নতুন এইচএস কোড নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে শুল্কের পরিমাণ আগের ১১ শতাংশ থেকে ৪৯
শতাংশ বেড়ে প্রায় ৬০ শতাংশে গিয়ে পোঁছাবে। বর্ধিত এ শুল্ক এসি ব্যবসা এবং ভোক্তাদের
ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ হবে। এর ফলে সরকার এ খাত থেকে
বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাবে।
ব্রামার সদস্যরা ভিআরএফ ও ভিআরভি
এসি আমদানির জন্য প্রস্তাবিত এইচএস কোড ৮৪১৫.১০.২০ এর পরিবর্তে পূর্বের এইচএস কোড ৮৪১৫.১০.১০
রাখার দাবি জানান।
ভিআরএফ ও ভিআরভি এসি বিশ্বব্যাপী
সবচেয়ে উন্নত, শক্তিশালী, স্থান ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ বান্ধব দাবি করে ব্রামা
নেতারা বলেন, বাংলাদেশের হাসপাতাল, আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক ভবন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন
প্রকল্প সাড়ে ১৭ থেকে ২১ টন এসির জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এমআরটিসহ সরকারের বিভিন্ন
মেগা প্রকল্পও এ ডিজাইনে প্রস্তাব করা হয়েছে। এমতাবস্থায় নতুন এইচএস কোড অনুযায়ী ২৫
টন এসি স্থাপন করা হলে সকলের ব্যয় ও স্থান দুটিই অপচয় হবে।
আসাদুজ্জামান বলেন, প্রায় ১
লক্ষ লোক সরাসরি এ খাতে সংযুক্ত রয়েছে, যার বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পে পূর্বের কোড অনুযায়ী চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন ব্যবসায়ীরা।
নতুন এইচএস কোড বাস্তবায়ন করা হলে মুখ থুবড়ে পড়বে এ খাত।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য
রাখেন ব্রামার সহ-সভাপতি আকরাম হোসেন ববি, পরিচালক ওমর শরীফ, আবু সাঈদ, মো. আবুল হোসেন, উপদেষ্টা এম এ সাঈদ বাবুল এবং সদস্য আলী রায়হান
ও বিশ্বনাথ সাহা প্রমুখ।